ফাইনালে কাকে চান তামিম ইকবাল?
ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে যতটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা শ্রীলঙ্কা কিংবা জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে আশা করেছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা, এখনও পর্যন্ত সে ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে যেটা সবচেয়ে বড় জয়ও বটে।
ফিরতি লেগের খেলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার সম্ভাবটা টিকিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। প্রথম লেগের দুই ম্যাচ জিতেই ২টি বোনাস পয়েন্টসহ ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে মাশরাফি বিন মর্তুজারা। বাকি দুই ম্যাচ শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
কিন্তু তামিম ইকবালের মতে, আনুষ্ঠানিকতা কিংবা রিল্যাক্সের কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি ম্যাচই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের মত করে সেরাটা খেলতে চান তারা। তরুণ যারা তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগও বটে আগামী ম্যাচগুলোতে।
ফাইনালে তো বাংলাদেশ উঠেই গেছে, তো শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলে ভালো হবে। কাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাইনালে চান? এই প্রশ্নের জবাবে তামিম জানালেন, কে প্রতিপক্ষ হবে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো তাদের নিজেদের ভালো খেলতে হবে।
তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমি ওরকম করে বলব না যে শ্রীলঙ্কাকে চাই কিংবা জিস্বাবুয়েকে চাই। আমাদের কাজ হল, কাল আমাদের জন্য ইমফরট্যান্ট একটা ম্যাচ। আমাদের আরও ভাল কিছু করার সুযোগ আছে। ওই জিনিসগুলা নিশ্চিত করতে হবে। ফাইনালে যার সাথে দেখা হবে, ওরকম করেই খেলব। যেই আসবে তাদের সাথে খেলতে হবে এবং ভাল খেলতে হবে।’
বাকি দুই ম্যাচ যেহেতু আনুষ্ঠানিকতার, সে কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে কি না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের এই সিনিয়র ব্যাটসম্যান জানান, এ বিষয়ে তার বলার কিছু নাই। এসব নির্ধারণ করেন টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক। তবে পরিবর্তন হলেও যেই আসুক তাকে অবশ্যই ভালো খেলতে হবে।
এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমি ওই পজিশনে নেই এই কথাটা বলার জন্য। কারণ, এটা নির্ভর করে নির্বাচক, অধিনায়ক এবং কোচের ওপর। আমার কাছে মনে হয়, যারা সাইড বেঞ্চে আছে তারাও সামর্থ্য রাখে ভাল খেলার। যদি তারা (টিম ম্যানেজমেন্ট) এ রকম কোন কিছু চিন্তা করে, আমি নিশ্চিত যেই খেলবে তার নিজেদের সেরা দিয়েই খেলার চেষ্টা করবে। আমরা যেভাবে করে যাচ্ছি, একটা দল হিসেবে দুটা খুব ম্যাচ ভাল খেলেছি। এখন আমরা চাই, আগের দুই ম্যাচে যদি ছোট ছোট কোনো ভুল থাকে, সেগুলো থেকে যেন আরও উন্নতি করতে পারি। আমরা এ দিকেই এখন বেশি নজর দিচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনের অন্য পর্যায়ে প্রায় একই প্রশ্ন আবার জিজ্ঞাসা করা হলো তামিমকে যে, আবুল হাসান রাজু কিংবা মোহাম্মদ মিঠুনের খেলার কোনো সুযোগ আছে কি না! প্রায় একই জবাব দিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘সিলেকশন আমার হাতে নেই। আমার কাছে মনে হয়, যদি বিষয়টা পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের হাতে ছেড়ে দিই, তাহলে হয়তো জানতে পারতাম। তবে দলের বাকিরা কিন্তু খবু বেশি ম্যাচও খেলে নাই। আমি নিশ্চিত যদি পরিবর্তন আসে সেটার পেছনে কারণ থাকবে, যদি না আসে সেটির পেছনেও কারণ থাকবে।’
আইএইচএস/আরআইপি