তামিমের সেঞ্চুরির আক্ষেপ
শুরু থেকেই সতর্কভাবে খেলছিলেন। ব্যাট চালানোর ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছিলো লক্ষ্য অনেক বড়। ৫১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটিও নেন তুলে। কিন্তু লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে হঠাৎ ছন্দপতন। হলো না সেঞ্চুরি করা। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে আউট হন তামিম। ব্যক্তিগত ৮৪ রানে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তামিম ইকবালকে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান। সাকিব ৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন মুশফিকুর রহীম।
মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ও বিজয়। তবে দুইবার জীবন পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বিজয়। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার। পেরেরার শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন। ব্যাটে খেলতে পারেননি। গ্লাভস ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার কাছে। এর আগে ২ ও ৩৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান এই ওপেনার।
বিজয়ের আউটের পর উইকেটে এসে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকেন সাকিব। খোলস ছেড়ে বের হন তামিমও। ওপেনার তামিম দেখা পান ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফসেঞ্চুরির। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ধনঞ্জয়ার বল দূর থেকে খেলে উইকেটরক্ষক ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তামিম। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন আত্মবিশ্বাসী ডিকভেলা।। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত, ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮৪ রান। ১০২ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় এই রান করেন এই ওপেনার। আর এতেই ভাঙে সাকিবের সঙ্গে তামিমের ৯৯ রানের জুটি।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
উপল থারাঙ্গা, কুশল পেরেরা, দীনেশ চান্ডিমাল, ডিকভেলা, কুশল মেন্ডিস, আসলে গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, সুরাঙ্গা লাকমল, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ।
এআরএস/এমএস