বিপিএল অভিজ্ঞতা ভালোই কাজে লাগাচ্ছেন সিকান্দার রাজা
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জিম্বাবুয়ে কোচ হিথ স্ট্রিক বলেছিলেন, ‘বিপিএলে খেলা সিকান্দার রাজা, ম্যালকম ওয়ালার, সলোমন মির এবং গ্রায়েম ক্রেমারের অভিজ্ঞতা এই সিরিজে (ত্রিদেশীয়) আমাদের কাজে লাগবে। কারণ, তারা সর্বশেষ এখানকার আবহাওয়ার সম্পর্কে জানে এবং বাংলাদেশের নতুন তারকা যারা আছে, তাদের সম্পর্কেও জানে। শ্রীলঙ্কানদের সঙ্গেও খেলেছে।’
হিথ স্ট্রিকের এই আশা পুরোপুরি পূরণ করে চলেছেন জিম্বাবুয়ে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজা। মাত্র মাসখানেক আগে শেষ হওয়া বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলেছিলেন সিকান্দার রাজা। নিজের দল হয়তো ভালো করতে পারেনি। কিন্তু সিকান্দার রাজা ছিলেন উজ্জ্বল পারফরমার। নিয়মিতই তিনি ছিলেন চিটাগংয়ের স্কোয়াডে। রানও করেছেন নিয়মিত। এক ম্যাচে তো খেলেছেন বিধ্বংসী ৯৫ রানের ইনিংস।
মোট ১১ ম্যাচের ১০টিতে ব্যাটিং করেছেন। রান করেছেন ২৭৮। গড় ৩৯.৭১ করে। স্ট্রাইক রেট ১৫৩.৫৯। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের দুই স্টেডিয়ামকে বলা যায় একেবারে হোম ভেন্যু বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। এক মাসের ব্যবধানে তো আর সেই অভিজ্ঞতা কমে যাওয়ার কথা নয়।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বিপিএলের সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাচ্ছেন সিকান্দার রাজা। দুই ম্যাচ খেললেন। দুই ম্যাচেই করলেন হাফ সেঞ্চুরি। শুধু তাই নয়, দুই ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সিকান্দার।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে অলআউট ১৭০ রানে। সিকান্দার রাজা সর্বোচ্চ করেছিলেন ৫২ রান। জিম্বাবুয়ে দলে সেদিন একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন তিনি। বাকিরা ভালো করতে না পারায় হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুতে মাসাকাদজা খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৮১ রান করে অপরাজিত থাকলেন সিকান্দার রাজা। দুই ম্যাচে রাজার ব্যাট থেকে এলো ১৩২ রান।
আইএইচএস/জেআইএম