বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা হাথুরুর
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সোনালি সময়টা এসেছে তার সময়ে, তার অধীনে এবং তার হাত ধরেই। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়, এশিয়া টি-টোয়েন্টির ফাইনাল কিংবা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল। সে সঙ্গে টেস্টে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রবল শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয়, শ্রীলঙ্কার মাটিতে শততম টেস্টে জয়- এসবই এসেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের হাত ধরে।
কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর চারটি বছর টাইগার ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। এ দেশের ক্রিকেটারদের সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলাকালীন সময়ে বিসিবির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে বসেন তিনি। যদিও তা জানা গিয়েছে অনেক পরে। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন সত্যি প্রমাণ করে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে হাথুরুসিংহে কোচ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার।
শুধু কোচ হওয়াই নয়, দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্টও যে বাংলাদেশের বিপক্ষে! ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক ভালোবাসার সামনে প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। কিছুটা হলেও তো বিব্রতকর! তবে দারুণ পেশাদারী মানসিকতার হাথুরুসিংহেকে এসব আবেগ যে স্পর্শ করে না তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন প্রথমেই।
একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন তিনি এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। সুতরাং, তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান, চিন্তা-চেতনা জুড়ে শুধুই শ্রীলঙ্কা। তবে সদ্য বন্ধন ছেড়া চার বছরের ভালোবাসার কথা তো আর ভুলে যেতে পারেন না! এ কারণে সৌজন্যতাবশত বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন হাথুরুসিংহে।
বাংলাদেশ ছাড়ার পর এ প্রথম আবার ঢাকায় এলেন টাইগারদের প্রতিপক্ষ হয়ে। শনিবার ঢাকায় পা রাখার পর আজ রোববার কুয়াশা কেটে যাওয়ার আগেই সদলবলে মিরপুরে হাজির হাথুরুসিংহে। এরপর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় মাশরাফি-সাকিবদের শুভকামনা জানিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ব্যক্তি জীবনে আমি খুবই পেশাদার মানসিকতার মানুষ। আবেগ আমাকে সহজে স্পর্শ করতে পারে না। বাংলাদেশের সঙ্গে চার বছর কাজ করেছি, ক্রিকেটার ও বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল যথেষ্ট। এখন আমি শ্রীলঙ্কার কোচ। আমার চিন্তা-চেতনা এবং ভাবনার সবটুকু জুড়েই শুধু শ্রীলঙ্কা। যেহেতু বাংলাদেশের কোচ ছিলাম, সে আলকেই জানাচ্ছি শুভ কামনা। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ আগামীতেও ভালো করবে।’
এআরবি/আইএইচএস/আইআই