প্রোটিয়া পেসে লণ্ডভণ্ড ভারত, হারলো ৭২ রানে
২০৮ রানের লক্ষ্যও ছুঁতে পারলো না বিরাট কোহলিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে অলআউট করে দেয়ার পর তারা নিজেরাও দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে গেলো ১৩৫ রানে। ফলে কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭২ রানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে ভারতকে।
ঘরের ছেলে ভারনন ফিল্যান্ডারের তোপেই উড়ে গেলো ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। ৪২ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নিলেন ফিল্যান্ডার। বাকি ৪ উইকেট ২টি করে ভাগ করে নিলেন মরনে মর্কেল এবং কাগিসো রাবাদা।
ইনিংসের ৪৩তম ওভারেই সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেন ফিল্যান্ডার। ৮২ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরে দাঁড়িয়ে যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ভুবনেশ্বর কুমার। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলেই অশ্বিনকে ফিরিয়ে দিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন প্রোটিয়া পেসার। উইকেটের পেছনে অশ্বিনের দারুণ এক ক্যাচ ধরেন কুইন্টন ডি কক। ফিরে যান ৩৭ রান করা অশ্বিন।
পরের বলে ফিল্যান্ডারকে বাউন্ডারি মেরে দেন নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি। এতে যেন আরও ক্ষেপে যান কেপ টাউনে জন্ম নেয়া এই পেসার। ওভারের তৃতীয় বলেই ফ্যাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শামিকে। ওভারের চতুর্থ বলে রেহাই দিলেন না জসপ্রিত বুমরাহকে। ফের ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান বুমরাহ। সঙ্গে সঙ্গেই ৭২ রানের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার।
মাঝে একদিনের বৃষ্টি দারুণ রোমাঞ্চ জমিয়ে দিয়েছে কেপ টাউনের নিউল্যান্ডস স্টেডিয়ামে। উইকেটের আচরণে পরিবর্তন আসার কারণে ভারতীয় পেসাররা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইনআপের সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে অলআউট করে দিয়েছিল। ২০৭ রানের লিড দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার।
জয়ের জন্য ২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সফরকারী ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ফিল্যান্ডার, মর্কেল এবং রাবাদাদের তোপের মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ১৩ রান করে মুরালি বিজয়, ১৬ রান করে শিখর ধাওয়ান, ৪ রান করে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা। অধিনায়ক কোহলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ২৮ রান করে আউট হন তিনি।
১০ রান করেন রোহিত শর্মা। ঋদ্ধিমান সাহা আউট হন ৮ রান করে। ১ রানে উইকেট হারান হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান করে তিনিই ভারতকে খেলায় ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু অষ্টম উইকেটে এসে স্বাগতিকদের কিছুটা চিন্তায় ফেলে দেন অশ্বিন আর ভুবনেশ্বর কুমার। দু’জনের ৪৯ রানের জুটিতে ভারত কিছুটা আশার আলো দেখেছিল।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অশ্বিন। ১৩ রান করেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি অবশ্য আউট হননি। শেষ ওভারে ফিল্যান্ডারের তাণ্ডবে তিনি থেকে যান নন স্টাইকিংস প্রান্তে। অন্য প্রান্তে টানা তিন উইকেট পড়লে হার মানতে বাধ্য হয় ভারত।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত অলআউট হয় ২০৯ রানে। ৭৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ১৩৫ রানে অলআউট হলো ভারত।
আইএইচএস/এমএস