পরিচয় বদল নিয়ে মাথাব্যথা নেই হ্যালসলের
২০১৪ সালে যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন ছিলেন ফিল্ডিং কোচ। সময়ের প্রবাহমানতায় বছর যেতে না যেতেই সেই রিচার্ড হ্যালসল বনে যান সহকারী প্রশিক্ষক।
গত দুই বছরের বেশি সময় চন্দিকা হাথুরুসিংহে যখন টিম বাংলাদেশের হেড কোচ, তখন এই ইংলিশই ছিলেন প্রধান সহকারি। আর হাথুরুর অনুপস্থিতিতে সেই রিচার্ড হ্যালসল এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালিন কোচ।
এই যে সময়ের সাথে সাথে পরিচয় বদল, ফিল্ডিং কোচ থেকে অ্যাসিসট্যান্ট কোচ আর এখন অন্তর্বর্তীকালিন প্রশিক্ষক হয়ে যাওয়া, তা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই রিচার্ড হ্যালসলের।
গত প্রায় তিন বছর মাশরাফি, সাকিবদের সাথে কাজ করা এ ইংলিশের কাছে যে পরিচয়ের তকমার চেয়ে কাজটাই বড়। তাই তো অন্তর্বর্তীকালিন কোচ হিসেবে কাজে যোগ দেয়ার পরও তার মুখে এ কথা- ‘আমার মনে হয়, আমি আগে যা ছিলাম, এখনো তাই আছি। কোন পরিবর্তন চোখে পড়ছে না আমার। আমি সব সময় কোচিং সাইডটা দেখি। আগেও দেখতাম। এখনো তাই দেখছি। কাজেই আগে কোন পরিচয়ে ছিলাম আর এখন কি হয়েছি, সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
বাংলাদেশকে যতটা সম্ভব ভালোভাবে গড়ে তুলতে চান হ্যালসল। তিনি বলেন, ‘একজন প্রশিক্ষক হিসেবে আমার দৃষ্টি ভঙ্গি হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যতটা সম্ভব যথাযথ ও ভালভাবে গড়ে তোলা। যাতে তারা মাঠে ভাল খেলে বাংলাদেশকে জয় উপহার দিতে পারে। কাজেই টাইটেল বা উপাধি যাই বলা হোক না কেন, তার রদবদলে কিছুই যায় আসে না। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশকে একটি লড়াকু দল হিসেবে গড়ে তুলতে। যে দলটি দারুণ আকর্ষণীয় ও রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতবে। আমি সেই চেষ্টাই করি নিরন্তর। এটাই আমার কাজ।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএস