হাথুরুর মত রাগ নেই সুজনের!
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদ্য বিদায়ী কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছিলেন কড়া শাসক। বেশ রাগি। দলের মধ্যে বলতে গেলে তিনি মার্শাল ল জারি করেন। সেই হাথুরু এখন শ্রীলংকা দলের কোচ। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার ব্যাপারে প্রায় সময়ই মনোভাব ছিল নেতিবাচক। তবে হাথুরুর বিপরীত চরিত্রের বাংলাদেশ দলের বর্তমান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন!
এটা বাইরে শোনা কথা নয়। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররাও জানেন এই কথা। আজ (শনিবার) দলের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গতি তারকা তাসকিন আহমেদের কথাতেও উঠেছে এসেছে এ বিষয়টা।
দুই কোচ সম্পর্কে মূল্যায়ণ করতে গিয়ে তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আসলে ক্রিকেটারদের ওপর চাপ তো থাকেই সবসময়। হয়তো এক একজনের বোঝানোর ধরন একেক রকম। উনি (হাথুরু) হয়ত একটু বকা-ঝকা দিয়ে বলতেন। আর সুজন স্যারও রাগেন; কিন্তু একটু নরমভাবে পরে বুঝিয়ে দেন কিভাবে কী করতে হবে। তো যতবারই তার (খালেদ মাহমুদ সুজন) অধীনে খেলেছি ভাল করেছে দল। আশাকরি, সে ধারাবাহিকতা এবারও থাকবে।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এখন আর তাসকিনদের কোচ নন। তিনি শ্রীলঙ্কার। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সামনের চ্যালেঞ্জ। বিষয়টা বাংলাদেশ দলের জন্য কতটা সমস্যা করতে পারে? তাসকিনের মতামত, ভালো খেলতে পারলে কোনোই সমস্যা হবে না। তাসকি বলেন, ‘তিনি (হাথুরু) তো আমাদের সঙ্গে অনেকদিন ছিলেন! আমাদের ভালভাবে চেনেন তিনি। কার দুর্বলতা কোনটা, সবই তার জানা। তো এটা হয়তো ওদের (শ্রীলঙ্কা) জন্য একটু লাভ হতে পারে। তাও আমার মনে হয়, দেশের মাটিতে আমরা ভাল খেললে জিততে পারবো। সিরিজ জিততে পারব।’
আসন্ন সিরিজগুলো সামনে রেখে সুজনের অধীনে ভিন্নভাবে কাজ করার কথাও জানান তাসকিন। তিনি মনে করেন, ‘আসলে বাংলাদেশে যেমন উইকেট থাকে সেই উইকেটেই হবে হয়তো। আমরা কিন্তু অনেক ম্যাচ (ঘরের মাঠে) জিতেছি ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে। যে উইকেটই হোক না কেন, স্কিল ও ভাল খেলাটা খেলতে হবে আমাদের। কোচ যেটা চাচ্ছেন সেটা হচ্ছে কি না, তা ঠিক করতে হবে। যদি সেটাই হয় তাহলে যে কোন জায়গায় সফল হওয়া সম্ভব। সুজন স্যার অনেক সাহায্য করছেন। আসলে আমরা একটু ভিন্নভাবে ট্রেনিং করতেছি। সব মিলিয়ে ভালই হচ্ছে।’
এবারের বিসিবি ঘোষিত প্রাথমিক দলে পেসার রয়েছেন ১১জন, ফলে একজন ভাল না করতে না পারলে দ্রুতই তার পরিবর্তে অন্যজনকে সুযোগ দেয়া যাবে। যদিও এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন তাসকিন। তিনি মনে করেন, ‘আগেও দলের মধ্যে এমন লড়াই ছিল। এখানে যারা আছে সবাই স্কিলফুল এবং প্রতিভাবান। তো সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকে সবার জন্য। একটা চাপ থাকে ভাল পার্ফরম না করলে বাদ পড়তে হতে পারে। ওই চাপ মাথার মধ্যে নিলে আর উন্নতি হবে না। সে সব চিন্তা না করে কিভাবে ভাল করা যায়, সে চিন্তাই করছি এখন।’
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি