প্রথম দিন নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন মেহেদী!
যখন নতুন কোন জায়গায় যাবেন, এমনিতেই নার্ভাসনেস ভর করবে আপনার ওপর। তারপর দেখা গেল, সেখানে যে কাজটা করতে যাচ্ছেন সেটা আগে থেকে অন্য কেউ করে ফেলেছেন বা অন্য কারো দায়িত্বে, তখন আরও বেশি নার্ভাস হয়ে যাবেন। যদিও একটা না একটা সময় আপনি মানিয়ে নেবেনই।
বাংলাদেশ দলের যখন কোন টুর্নামেন্ট থাকে কিংবা সিরিজ থাকে, তার আগে একটা প্রথমিক দল ঘোষণা করা হয়। সেখানে প্রায়ই নতুন কেউ না কেউ থাকেন। প্রাথমিক দলের প্রথম ক্যাম্পের দিন বেশ আড়ষ্টতা নিয়ে নতুন ডাক পাওয়ারা ক্যাম্পে আসেন। এ কারণে তাদের মধ্যে বেশ নার্ভাসনেস কাজ করে।
আজ (বুধবার) ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। যাতে ডাক পেয়েছেন বেশ কয়েজন নতুন ক্রিকেটার। সেই নতুনদেরই একজন মেহেদী হাসান। ক্যাম্পে তার প্রথমদিনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করলেন মেহেদী হাসান। জানালেন, লাজুকভাবে চেয়ারে বসতে না পারা নিয়ে নার্ভাস হবার বিষয়টিও।
নিজের নার্ভাসনেস নিয়ে এই নবাগত স্পিনার বলেন, ‘আসলে আমার জন্য প্রথম সকালটা রোমাঞ্চকর ছিল। এই প্রথম জাতীয় দিলের ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছি। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা- সবই যেন ঘোরের মধ্যে কাটছিল আমার। সবাই সবার সিটে বসে আছেন; কিন্তু আমি আমার সিট খুঁজে পাচ্ছি না। তাহলে বসবো কোথায়! যে সিটেই বসতে যাই না কেন, সেটা আগে থেকে কারো না কারো জন্য নির্ধারিত। তো তখন একটু নার্ভাস লাগছিল যে- কোথায় বসবো। দাঁড়িয়েছিলাম অনেকক্ষণ। আমার যারা টিমমেট ছিল তারা বলছিল, প্রথম আসলে এমনই হয়। এক-দুইদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।’
চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকার ব্যাপারেও বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গেল এই তরুণকে। নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস তো আছেই। যেই স্কোয়াডে আসুক না কেন। সবাই সবার সেরাটা দিতে চাইবে। তো সে ক্ষেত্রে আমিও তো ১০০ ভাগের চেয়ে বেশি দিতে চাইব। ইনশাল্লাহ সেটাই দিবো।’
ব্যাটিং আর বোলিংয়ের মধ্যে একটা জায়গাতেই ফোকাস করতে চান বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা এই তুরুপের তাস। তার মতে, ‘আসলে দুই জায়গায় ফোকাস করা কঠিন। আপনার যেটায় ভাল হবে,যেটায় দক্ষ সেটায় মনোযোগ দেয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় দুটাই নষ্ট হতে পারে। সুতরাং, একটা একটা টার্গেট করাই ভাল।’
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম