১১২ রানে অলআউট ভারত
ভাগ্যিস মহেন্দ্র সিং ধোনির মত সিনিয়র ক্রিকেটার দলে ছিলেন। না হলে যে আজ কী লজ্জায়ই না পড়তে হতো ভারতীয় ক্রিকেট দলকে! টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মহেন্দ্র সিং ধোনির বীরোচিত ৬৫ রানের ওপর ভর করে ৩৮.২ ওভারে মাত্র ১১২ রানেই অলআউট ভারত।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর আজ থেকে ধর্মশালায় শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। টানা খেলার কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই সিরিজে দলে নেই অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি রয়েছেন ছুটিতে এবং এই সুযোগে বিয়ের কাজটাও সেরে ফেলছেন তিনি।
বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন রোহিত শর্মা। তার নেতৃত্বে খেলতে নেমে বলতে গেলে দারুণ লজ্জ্বাতেই পড়তে হলো ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ বল খেলে মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি ৬৫ রান না করতেন, তাহলে ৬০ রানেরও নিচে অলআউট হতে হতো ভারতকে।
টস জিতে রোহিত শর্মাকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়াস আয়ার, দিনেশ কার্তিক এবং মানিস পান্ডে আউট হন মাত্র ১৬ রানের মধ্যে।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ৫জন ব্যাটসম্যানের এত কম রানে আউট হওয়রা আর নজির নেই কখনও। এর আগে প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হওয়ার নজির ১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেবার ১৭ রানে আউট হয়েছিলেন প্রথম ৫ ব্যাটসম্যান।
আরও একটি মজার তথ্য হলো, ইনিংসের প্রথম ৫ ওভার শেষে ভারতের ছিল ২ উইকেটে ২ রান। ২০০১ সালের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে আর কোনো দলের এতটা করুণ বিপর্যয় ঘটেনি।
মহেন্দ্র সিং ধোনি ছাড়াও দুই অংকের ছোঁয়া পান হার্দিক পান্ডিয়া (১০) এবং কুলদীপ যাদব (১৯)। এছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা ২ অংকের ছোঁয়াই পাননি। চারজন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। ধোনির ৬৫ রানের মধ্যে ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সুরঙ্গা লাকমালই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বিধ্বংসী। ১৩ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন তিনি। তার বোলিং ফিগার ১০-৪-১৩-৪। অথ্যাৎ ৪ ওভারই ছিল এর মধ্যে মেডেন। ২ উইকেটন নেন নুয়ান প্রদীপ। এছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া এবং সাচিথ পাথিরানা নেন ১টি করে উইকেট।
আইএইচএস/জেআইএম