হ্যালসল-সুজনকে প্রস্তুত থাকতে বললেন পাপন
ইংলিশ কোচ রিচার্ড পাইবাস ইন্টারভিউ দিয়ে চলে গেছেন। তার ভষ্যিৎ পরিকল্পনা কি? তিনি কি করতে চান? তার কর্মপদ্বতিই বা কী হবে- এসব বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েও গেছেন। আজ সন্ধ্যায় ইন্টারভিউ দিতে আসছেন আরেক বিদেশি ফিল সিমন্স।
এর বাইরে সম্ভাব্য কোচের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ এবং ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য জিয়ফ মার্শের নামও শোনা যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় নতুন কাউকে পাওয়া না গেলে হয়ত পাইবাস, সিমন্স আর জিওফ মার্শের তিনজনের মধ্য থেকেই কেউ বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আজকের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপাততঃ বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সাথে হোম সিরিজ ও ঘরের মাঠে তিনজাতি আসরে কোন নতুন বিদেশি কোচকে দেখা নাও যেতে পারে। ওই দুটি মিশন বর্তমান প্রধান সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল এবং ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে দিয়ে পরিচালনার কথা ভাবছে বোর্ড।
আজ দুপুরে হোটেল র্যাডিসনে তিন ফরম্যাটে জাতীয় দলের তিন অধিনায়ক ও জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অনেক কথার ভীড়ে নাজমুল হাসান পাপন এমন ইঙ্গিতই দিয়ে গেলেন।
তার কথায় বোঝা যাচ্ছে, আজ জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক মাশরাফি, মুশফিক ও সাকিবের সঙ্গে আলাপ আলোচনা এবং কোচিং স্টাফদের মতামত নিয়ে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বও রোববার বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় আলোচনা হবে। এরপর কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। তবে বিসিবি এখনই, মানে চট-জলদি কোন বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে না।
একটু সময় নিয়ে ভালো মানের কোচের খোঁজে রয়েছে বোর্ড। তাই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হোম সিরিজ ও জানুয়ারিতে তিনজাতি ক্রিকেটের আগে বর্তমান প্রধান সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে প্রস্তুত থাকার কথা বললেন বিসিবি সভাপতি।
কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আগামীকাল আমাদের বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব অন্তবর্তীকালীন অবস্থায় আমরা বর্তমান জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের মধ্য থেকে হেড কোচ করবো কি না। আপাতত যে দলটা আছে সেখানে রিচার্ড হ্যালসল ও পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন আছে। তাদেরকে নিয়েছি এবং এখানে সুনিল যোশিও ছিল। ফাস্ট বোলিং যে ছিল, কোর্টনি ওয়ালশ উনিও আসবেন। এর বাইরে তিনজন ক্যাপ্টেনের সঙ্ওগে কথা বলেছি। তাদের সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম যে, তারা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে হ্যান্ডেল করতে পারবে কি-না। তারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে জানিয়েছে যে, তারা হ্যান্ডেল করতে পারবে। এবং তাদের কোনো তাড়া নেই।’
হোম সিরিজে কোনো কোচের প্রয়োজন নেই জানিয়ে পাপন বলেন, ‘তার অর্থ হোম সিরিজের আগে তাড়াহুড়ো করে কোনো কোচ দরকার নেই। আমরা আস্তে-ধীরে বেস্ট পসিবল সলিউশনের দিকে এগুতে পারি। তার মানে এ না যে, আমরা কোচ নিচ্ছি না। কাল-পরশুও আমরা কোচ নিতে পারি। এটা ভিন্ন ইস্যু। আমি তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বললাম। হোম সিরিজের ঠিক আগে যদি কোনো কারণে কোচ না পাই তাহলে কি পরিকল্পনা করবে তারা? আমরা যেন সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি এবং উনারা যেন সব পরিকল্পনা করতে পারে এটা নিয়ে কথা হয়েছে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম