ঘুমিয়েই অবসর কাটে গেইলের
আগের ম্যাচগুলোয় যত নিষ্প্রভ আর নিষ্ক্রিয়ই মনে হোক না কেন, ক্রিস গেইল আসলে নিজের দিনে কত ভয়ঙ্কর উইলোবাজ, তার ব্যাট কত বিধ্বংসী-আজ শেরে বাংলায় ২৫ হাজার দর্শক তা নিজ চোখে দেখলেন। কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগী টেলিভিশন সেটের সামনে বসেও গেইলের ‘ছক্কা বৃষ্টি’ দেখলেন।
ছক্কা কত সহজে হাঁকানো যায়? একজন ব্যাটসম্যান কত অনায়াসে অবলীলায় বাতাসে ভাসিয়ে সীমানার ওপারে গণ্ডায় গণ্ডায় বল পাঠাতে পারেন-আজ শেরে বাংলায় সে দৃশ্যই যেন চিত্রায়িত হলো। এমন নয়, ক্রিস গেইল আজই প্রথম ১৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
এর চেয়ে বেশি ১৭ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও আছে এ ক্যারিবিয় উইলোবাজের। সেটা ভারতের সাড়া জাগানো টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলে। এমন ঝড়ো ব্যাটিং যিনি করেন, তিনি ব্যক্তি জীবনে কেমন? তার কথা-বার্তা, চলাফেরা ও গতি প্রকৃতিই বা কী রকম? মাঠের বাইরে তার সময় কাটে কীভাবে? অবসরে গেইল কী করে সময় কাটান? খুব জানতে ইচ্ছে করছে, তাই না?
তাহলে শুনুন। তার ব্যাট যতই ভয়ঙ্কর হোক, ব্যক্তি জীবনে গেইল একদম শান্ত প্রকৃতির। আগেও চার বার বিপিএল খেলে যাওয়া গেইলকে খুব কাছ থেকে দেখা কোচ সারোয়ার ইমরান ও মুমিনুল হকের (গেইল যখন প্রথমবার বরিশাল বার্নার্সের হয়ে খেলতে আসেন, তখন মমিনুল ছিলেন তার টিমমেট) কাছ থেকে শোনা, গেইল আসলে খুবই শান্ত, বিনয়ী ও ভদ্র।
গেইলের এবারের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও আজ ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব সম্পর্কে জানালেন। আসুন মাশরাফির মুখ থেকেই শোনা যাক, গেইল কেমন মানুষ, অবসরে কি করে সময় কাটে তার?
মাশরাফি বলেন, 'আমি যতটুকু দেখেছি, গেইল খুবই রিল্যাক্সড থাকতে পছন্দ করে। অবসরে তার প্রধান কাজ ঘুমানো। সে সব সময় রুমে ঘুমাতে পছন্দ করে। এটাই হয়তো তাকে মাঠে এসে রিল্যাক্সড থাকার সুবিধা দেয়। আমি তাকে শেষ ৮/১০ ম্যাচ ধরে দেখছি, আগেও এক সাথে খেলেছি আমি। গেইলের মানসিকতায় কোন পরিবর্তন দেখিনি।'
রান করা বা না করায় গেইলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসে না, জানিয়ে মাশরাফি বলেন, 'রান করা কিংবা না করায় তার আচরণেও কোনো পার্থক্য চোখে পড়ে না। যেদিন রান করেনি, সেদিনও কোনোরকম তাড়াহুড়া করতে দেখিনি। সে সব সময় শান্ত থাকে। আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে মাঠে নামে। সব সময় এমনই থাকে।'
এআরবি/এমএমআর/এমএস