ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শেষ দুই ম্যাচও জিততে চান ইমরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭

১০ ম্যাচ খেলে ৮টিতেই জয়। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এখনও হাতে আছে ২টি ম্যাচ। সেই দুটি ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে যেতে চায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অন্যতম কাণ্ডারি, সেরা ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস।

বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে কুমিল্লার যে অবস্থান, সেখান থেকে তাদের আর নিচে নামানোর কেউ নেই। বাকি দুই ম্যাচ হারলেও তারা থাকবে শীর্ষে। তবুও কুমিল্লার প্রত্যাশা, বাকি দুই ম্যাচও তারা জিততে চায়। তাহলে হয়তো, কোয়ালিফায়ারে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলতে পারবে তারা। সে কথাই আজ (সোমবার) অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলছিলেন ইমরুল কায়েস।

প্রতিটা ম্যাচকেই খুব গুরুত্বের সাথে দেখছেন কুমিল্লার এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার মতে, ‘আমার মনে হয়, প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। একটা ম্যাচ যদি হেরে যাই, তাহলে আত্মবিশ্বাস শেষ হয়ে যাবে। প্রতিটা ম্যাচেই দলের সবার ফোকাস থাকে এবং জেতার জন্য মাঠে নামে। যে দুটা ম্যাচ বাকি আছে, অবশ্যই চেষ্টা করবো- কোয়ালিফায়ারের আগে এই দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসটা ধরে রেখে শেষ চারে খেলবো।’

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইমরুল কায়েস মোটামুটি ভাল ব্যাট করছেন। ১০ ম্যাচ খেলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬৩ রান। যদিও কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ৪৭। তবে, প্রতি ম্যাচেই গড়ে ভালো ব্যাটিং করে গিয়েছেন তিনি।

আজ অনুশীলন শেষে নিজের এমন ভাল ব্যাটিংয়ের রহস্যও জানালেন তিনি। ইমরুল বলেন, ‘আমি উইকেটে গিয়ে, উইকেটের সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে প্রতিটা বলেই মারা যায় না । ওই জায়গাটায় আমি চেষ্টা করছি, প্রথমে মানিয়ে নিতে তারপর বল টু বল দেখার চেষ্টা করছি। এরপর যখন দেখি হিট করা দরকার, তখন হিট করছি। আমি এভাবে প্ল্যান করে খেলে যাচ্ছি। বাকী ম্যাচগুলোয়ও আশা আছে, এভাবে খেলার।’

কুমিল্লা দলের দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্কটা খুব ভাল বলেও জানান ইমরুল। এ জন্যই দল ভাল করছে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে কোন দলেরই ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায়। আমাদের দলের যারা দেশি ক্রিকেটার আছে, আর যারা বিদেশি আছে সবাই খুব মিশুক হয়ে গেছে। এটা খুব জরুরি। এই যে বিদেশি খেলোয়াড়দের সাথে দেশি খেলোয়াড়দের যোগাযোগ এবং সম্পর্ক ভালো হওয়া, এটাও দলের ভালো করার অন্যতম রহস্য। আমার মনে হয়, আমাদের দলে এটা খুব ভাল হয়েছে। সবাই সবার সঙ্গটা উপভোগ করছে। এর জন্য ম্যাচ জেতার পর সবাই সবার আত্মবিশ্বাসটা ধরে রাখতে পারছে।’

এমএএন/আইএইচএস/এমএস