দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত কুমিল্লার
বিপিএলের শুরু থেকেই দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে চলছিল ঢাকা ডায়নামাইটস; কিন্তু গত কয়েকটি ম্যাচে এসে যেন সেই প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে তারা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি জিততে পারলে, শেষ চারে পথে অনেকটাই এগিয়ে যেতো সাকিব আল হাসানের দল।
অথচ এমন গুরত্বপূর্ণ ম্যাচে ঢাকার ব্যাটসম্যানরাই ছিলেন কেমন যেন নিষ্প্রাণ। এ জন্য মাশুলও গুণতে হল ঢাকাকে। বাড়লো সুপার ফোরে ওঠার অপেক্ষা। ঢাকাকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৯ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে গিয়েছে কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে খুলনা। ১০ ম্যাচে ঢাকার ১১ এবং ৯ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের পয়েন্ট ১০।
কুমিল্লার ছুড়ে দেয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানে থেমে যায় ঢাকা। ফলে ১২ রানের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এদিন ঢাকার দুই ওপেনারের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এভিন লুইস মাত্র ৬ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান। তিন নম্বরে নামা সাদমান ইসলাম ফেরেন ৯ রান করে। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ রান। আর সুনিল নারিনের ব্যাট থেকে আসলো ৫ রান।
তবে এরই ফাঁকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকার আরেক ওপেনার জো ড্যানলি। ৩৯ বল খেলে করেন ৪৯ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি ও দুইটি ওভার বাউন্ডারির মার।
ঢাকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন কাইরন পোলার্ড । ২১ বল খেলে তিনি করেন ২৭ রান। যদিও দল হারায় শেষ পর্যন্ত তার এই ইনিংসটিও বৃথা যায়। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকে। ১৩ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
শেষ সময় জহুরুল ইসলাম অমি এবং কেভিন কুপার চেষ্টা করলেও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেনি। বরং এক ম্যাচ আগে শেষ ওভারে ৩২ রান দেয়া সাইফউদ্দিন আজ ছিলেন শেষ ওভারের নায়ক। জহুরুল ইসলাম অমিকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। রান দিয়েছেন সব মিলিয়ে ৮টি। তাতেই ১২ রানে জয় আসে কুমিল্লার।
এর আগে টস জিতে ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করেন। তামিম ৩৭, লিটন ৩৪ এবং মারলন স্যামুয়েলস করেন ৩৯ রান।
এমএএন/আইএইচএস/বিএ