ভারতীয় জুয়াড়িদের কবলে বিপিএল!
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের শুরু থেকেই আলোচনায় জুয়াড়িরা। জুয়ায় টাল-মাটাল পুরো বিপিএল। শুরুতেই বিপিএল জুয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। জুয়ার আসর বসছে খোদ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও। প্রায় প্রতিদিনই গ্যালারিতে বসে অনলাইনে জুয়া খেলারে দায়ে কাউকে না কাউকে আটক করছে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীরা।
এর আগে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘গ্যালারিতে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় ১০ ভারতীয়সহ মোট ৭৭ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, ভারতীয় জুয়াড়িরা বিপিএলে কতটা তৎপর।
এবার চট্টগ্রামেও সন্ধান মিলেছে ভারতীয় জুয়াড়ির। গত দু’দিনে চট্টগ্রামে আটক হয়েছে চার ভারতীয় জুয়ড়ি। সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
গতকাল (মঙ্গলবার) থেকেই গুঞ্জন ছিল, ভারতীয় জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। তবে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জুয়াড়ি আটক হওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করলেও, তারা ভারতীয় কি না এ ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এদিকে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আকরাম খান বলেন, ‘অনলাইনে জুয়া খেলার সময় কাল গ্যালারি থেকে দু’জনকে আটক করেছি। আপনারা আকসুর (অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট) সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা দু’জনই ভারতীয় নাগরিক।’
এর আগেও গত ২৫ নভেম্বর দু’জন ভারতীয় আটকের পরে ভারতের ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘এর আগেও দু’জনকে ধরে থানায় দেয়া হয়। পরের দিন তারা জামিন নিয়ে ভারতের ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়া হয়।’
এর আগে বাড্ডায় জুয়া নিয়ে এক তরুণের খুনের ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসেছিল বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তারা, খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই নয়, মাঠের মধ্যে গ্যালারিতে বসেই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। তাদের ধরতেই মূলতঃ বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট মাঠে নেমে পড়ে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে হয়তো তাদের ধরা কঠিন।
জুয়া থেকে তরুণদের সচেতন করতে বিসিবি মাঠে বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম