প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩০২
ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩০২ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন ভিন্স। জবাবে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে। এখন পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮ রান।
ডেভিড মালান ২৮ এবং মঈন ১৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। তবে এ জুটি খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি। হাফ সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে সাজঘরে ফেরেন মালান। আর ৩৮ রান করেন মঈন আলি। শেষ দিকে ব্রড ২০ ও বল ১৪ রান করলে তিনশ পাড় করে সফরকারীরা। অসিদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্ট্রর্ক ও ক্যামিন্স।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড। শুরুতেই ধাক্কা। দিনের তৃতীয় ওভারে এসে অভিজ্ঞ অ্যালিস্টার কুককে মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। এরপর আবার উল্টো প্রতিরোধ ইংল্যান্ডের।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মার্ক স্টোনম্যান আর জেমস ভিন্স মিলে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। তাতে এই উইকেটে দীর্ঘ ৩১ ইনিংস পর সেঞ্চুরি জুটি পায় ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ম্যানচেস্টারে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৫ রানের জুটি গড়েছিলেন অ্যালিস্টার কুক আর জো রুট।
ইংল্যান্ড খুব ধীরে সুস্থে খেলছিল, একেবারে টেস্ট মেজাজে। ধীরে খেলছিলেন স্টোনম্যানও। কিন্তু ফিফটি পূরণ করার পরই তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প হারিয়ে ফেরার সময় স্টোনম্যানের রান ৫৩। ১৫৯ বলের ইনিংসটিতে ৩টি চার মারেন তিনি।
সঙ্গী হারালেও জেমস ভিন্স বেশ দেখে শুনে খেলে যাচ্ছিলেন। তার কপাল পুড়েছে রানআউটে। সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে নাথান লিয়নের থ্রোতে রানআউট হন এই ব্যাটসম্যান। ১৭০ বল মোকাবেলায় গড়া তার ৮৩ রানের ইনিংসটি ছিল ১২ বাউন্ডারিতে সাজানো।
ইংল্যান্ডের বিপদ আরও ঘনীভূত হয় দলের ব্যাটিং ভরসা ও অধিনায়ক জো রুট ফিরলে। বরাবরের মতই অজি পেস আক্রমণও স্বাচ্ছন্দ্যেই সামলাচ্ছিলেন ইংলিশ দলপতি। হঠাৎ প্যাট কামিন্সের একটি বল মিস করেন তিনি। তাতে ১৫ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে রুট। অবশেষে মালান আর মঈন আলির ব্যাটে দিন শেষ করে।
এমআর/আইআই