ব্রাথওয়েট ঝড়ে খুলনার ভালো সংগ্রহ
প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডাইনামাইটসের কাছে অনেকটা আত্মসমর্পণ করেছিল খুলনা টাইটান্স। হেরেছিল বড় ব্যাবধানেই। আজও (মঙ্গলবার) প্রথম থেকে ধীরগতিতেই খেলছিল খুলনার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু শেষ দিকে এসে ঢাকার বোলারদের উপর তাণ্ডব চালায় দানব ব্যাটসম্যান কার্লোস ব্রাথওয়েট। তার এই তাণ্ডবের উপর ভর করেই খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান। ফলে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৭ রান।
খুলনার ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থ হয়ে একে একে সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ব্রাথওয়েট। ৬ ছয় আর চার চারের সাহায্যে ২৯ বলে খেলেন ৬৪ রানের হার না মানা ঝকঝকে ইনিংস। খুলনার ইনিংসে আরও এক বিদেশির অবদান রয়েছে। নাম তার রিলে রুশো। করেন ৩০ বলে ৩৪ রান। এছাড়া খুলনার ইনিংসে আর কোন ব্যাটসম্যানের তেমন বড় কোন অবদান ছিল না। শান্তর ২৪ রান ব্যতীত।
ঢাকার হয়ে আবু হায়দার রনি ২টি উইকেট নেন। আর তিন স্পিনার সাকিব, নারিন ও আফ্রিদি একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
এদিকে টস হেরে খুলনার হয়ে ওপেন করতে আসেন মাইকেল ক্লিঙ্গার ও নাজমুল হাসান শান্ত। দু'জনে মিলে দেখেশুনে করেন ২২ রানের জুটি। আর এই জুটি ভাঙ্গেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের করা চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলটি হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন ক্লিঙ্গার। মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে ক্যাচটি নেন। ফলে ১০ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ক্লিঙ্গার।
এরপরই সপ্তম ওভারে আবারও সাকিব-রনি সমন্বয়ে খুলনার উইকেট। এবার বোলার রনি আর ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব আর আউট হয়েছেন ধীমান ঘোষ। মাত্র ২ রান করেই পাওয়ার প্লের শেষ বলে আউট হয়ে যায় ধীমান।
তবে প্রথম থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নাজমুল হাসান শান্ত ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নারিনের বলে জহরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৪। তবে রান রেট পয়েন্ট এ এগিয়ে আছে ঢাকা। তবে আজকের ম্যাচে যেই জয় পাবে সেই চলে যাবে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে।
এমএএন/এমআর/জেআইএম