আসল পার্থক্য গড়ে দিল আরিফুল-ব্রেথওয়েটের ব্যাটিং
খেলা শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো আবু জায়েদ রাহির হাতে। খুলনার এ মিডিয়াম পেসার ৩১ রানে চিটাগং ভাইকিংসের চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ।
তার প্রথম ওভারেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল চিটাগং। যে দু'জনার ওপর নির্ভর করে মিসবাহ বাহিনীর ব্যাটিং, সেই দুই ওপেনার লুক রনকি আর সৌম্য সরকার আউট রাহির প্রথম চার বলেই। তৃতীয় বলে রনকি আর ও চার নম্বর ডেলিভারিতে সৌম্য সাজঘরে।
গুডলেন্থ ডেলিভারিকে মিড অনের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিলেন রনকি। আর ঠিক পরের বলেই পুল খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন সৌম্য। এখানেই শেষ নয় । রাহি পরের স্পেলে ফিরিয়ে দিয়েছেন চিটাগংয়ের দুই নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার মিসবাহ উল হক আর দিলশান মুনাবিরাকেও।
কাজেই ম্যাচে রাহির ভূমিকা অন্য যে কারো চেয়ে বেশি । সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে। কিন্তু দলগত সাফল্যে সবচেয়ে বড় ও কার্যকর ভূমিকা ছিল খুলনা টাইটান্সের দুই মিডল অর্ডার ব্রেথওয়েট আর আরিফুল জুটির।
পুরো ম্যাচের পার্থক্যটা আসলে গড়ে উঠেছে ব্রেথওয়েট আর আরিফুল জুটির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। না হয়, পুরো ম্যাচে দুই দল প্রায় কাছাকাছিই ছিল। পরিসংখ্যান তাই বলে।
আসুন দেখে নেই পরিসংখ্যান । প্রথম ৫ ওভারে খুলনার রান ৩১/৩। আর ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে খুলনার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩৬। আর চিটাগাং ভাইকিংস ৫ ওভার শেষে করেছিল ৩৮/৪। আর ৬ ওভারে পাওয়ার প্লে শেষে মিসাবাহর দলের রান ছিল ৪৭/৪।
১০ ও ১৫ ওভার শেষেও দু দল প্রায় সমান সমান অবস্থায় ছিল। ১০ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৬৮/৪। আর চিটাগাং ১০ ওভার শেষে করেছিল ৭৩/৪। ১৫ ওভার শেষে খুলনা ১০১/৪ আর চিটাগাং ১০৫/৫।
কিন্তু আসল পার্থক্য গড়ে উঠলো শেষ ৫ ওভারে। ঠিক ঐ সময় ঝড়ো ব্যাটিং করলেন খুলনার দুই মিডল অর্ডার ব্রেথওয়েট ও আরিফুল। তারা উইকেটের চারিদিকে চার ও ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে রান চাকা সচল করলেন।
আরিফুল চার ছক্কায় ২৫ বলে ৪০ আর ব্রেথওয়েট তিন ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে ১৪ বলে ৩০ রানের একজোড়া ঝড়ো ইনিংস উপহার দিলে শেষ পর্যন্ত খুলনার রান গিয়ে ঠেকলো ১৭০ ‘এ। শেষ ৫ ওভারে উঠলো ৬৯।
আর ঠিক ওই জায়গায় মার খেলো চিটাগং ভাইকিংস। হাতে পর্যাপ্ত ( ৫ উইকেট ) থাকার পরও শেষ ৫ ওভারে চিটাগং ইনিংসে যোগ হলো মাত্র ৪৭ রান, এখানেই পার্থক্য গড়ে উঠলো।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এমন। সারাক্ষণ ঝড়ের বেগে রান তোলার দরকার নেই। এক, দুই সর্বোচ্চ তিন ওভার হাত খুলে খেলতে পারলেই হয়ে যায়। সেটাই পার্থক্য তৈরীর জন্য যথেষ্ট।
শেরে বাংলার উইকেটে ১৭০ অনেক না হলেও লড়িয়ে স্কোর, যে পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট-প্রমাণ হলো আজ আরও একবার।
এআরবি/এমএমআর/আরআইপি