বড় সংগ্রহ পেলো না চিটাগং
লুক রনকির আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত চিটাগং ভাইকিংস বড় সংগ্রহই দাঁড় করাতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। রনকি যখন আউট হন, তখন দলীয় সংগ্রহ ৯৯ রান কিন্তু ওভার মাত্র ৮ ওভার ৫ বল। কিন্তু কিউই এই ব্যাটসম্যান আউটের পরই থেমে যায় চিটাগংয়ের রানের চাকা। ফলে এমন শুরুর পরও চিটাগংয়ের ইনিংস থামে ৪ উইকেটে ১৬৬ রানে।
টস হেরে চিটাগংয়ের হয়ে ওপেন করতে আসেন রনকি ও সৌম্য সরকার। প্রথম ওভার থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন রনকি। ১৯ বলে তুলে নেন বিপিএলের তৃতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি।
দুই ওপেনার সৌম্য-রনকি মিলে মাত্র ৪ ওভার ৪ বলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। যার মধ্যে সৌম্য সরকারের অবদান মাত্র ৭। সাত রান নিয়েই মাশরাফির বলে জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। তার আগেই রনকি তুলে নেন এই আসরের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি।
এরপর দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন রনকি। দু'জনে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। তবে নবম ওভারে রবি বোপারের বল হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো জিয়াউর রহমানের হাতে ধরা পড়েন রনকি। ৩৫ বলে ৭ ছয় আর ৭ চারে সাজানো ৭৮ রানের তার রাজকীয় ইনিংসের সমাপ্তি তাতেই।
এরপর বোপারা আবারও আঘাত হানে ভাইকিংস শিবিরে। ২০ রান করা মুনাবিরাকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বোপারা। এরপর গড়িয়ে গড়িয়ে চলা চিটাগংয়ের রানের চাকাকে কিছুটা সচল রাখেন মিসবাহ-উল-হক। ৩২ বল খেলে তিনি করেন অপরাজিত ৩১ রান। যাতে ছিল মাত্র একটি চারের মার, ছিল না কোন ছয়।
এদিকে রংপুরের হয়ে রবি বোপারা তিন ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মাশরাফি আর থিসারা পেরারা পান একটি করে উইকেট।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম