চিটাগংকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক সিলেটের সাথে জিততে জিততে হেরে গিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্বাগতিক সিলেটের সাথে ওমন পরাজয়ে ভেঙ্গে পড়েছিল শক্তিশালী কুমিল্লা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই চিটাগং ভাইকিংসকে ৮ উইকেটে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত করলো তারা।
চট্টগ্রামের দেয়া ১৪৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে কুমিল্লার হারাতে হয়েছে মাত্র দুটি উইকেট। ১৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহাম্মদ নবির দল।
১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার হয়ে ওপেন করতে আসেন জশ বাটলার ও লিটন কুমার দাশ। দু'জনে মিলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন। তবে লিটনকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন শুভাশীষ রায়।
এরপর ইমরুল কায়েস ও বাটলার ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে বাটলারকেও ফেরান চট্টগ্রামের হয়ে দারুণ বল করা শুভাশীষ।
এরপর বাকি পথটা ইমরুল কায়েস ও মারলন স্যামুয়েলস পাড়ি দেন। দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ইমরুল ৩৩ আর স্যামুয়েলস ৩৫ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। আর চিটাগংয়ের হয়ে দুটি উইকেটই নিজের ঝুলিতে পুরেন শুভাশীষ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান তুলে চিটাগং ভাইকিংস।
টস জিতে কুমিল্লার অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি চিটাগংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ওপেন করতে এসে লুক রনকির মারমুখী ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো রান গিয়ে থামবে ১৭০/১৮০ তে। রনকি মারমুখী থাকলেও আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার খেলছিলেন ধীরে-সুস্থে।
এ দুই ওপেনার মিলে দ্রুত গড়ে ফেলেন ৬৩ রানের জুটি। ভয়াবহ মারমুখি হয়ে ওঠেন রনকি। মোহাম্মদ নবির বলে আউট হবার আগেই ২১ বলে ৩ ছয় ও চার চারের সাহায্যে ৪০ রান করে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান।
এরপরই ভাইকিংসদের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হয়। সৌম্য সরকার ও দিলশান মুনাবিরা ৩৮ রানের একটি ছোট জুটি গড়লেও সেটা খুব বেশি কাজে দেয়নি। মুনাবিরাকে ২১ রানে ব্রাভো ফেরালে বেশ চাপেই পরে যায় চিটাগং।
এরপর চিটাগং এর উপর আরও বেশি চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয় কুমিল্লার পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন একই ওভারে সৌম্য সরকার (৩৮) ও এনামুল বিজয়কে (৩) সাজঘরে ফেরান। এরপর চট্টগ্রামের কোন ব্যাটসম্যানই আর তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।
কুমিল্লার উদীয়মান পেসার সাইফুদ্দিন ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। আর ব্রাভো নিয়েছেন ২টি উইকেট। আল-আমিন ও মোহাম্মদ নবি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে ৩ উইকেট নেয়া মোহম্মদ সাইফুদ্দিনের হাতে আর এক্সাইটিং খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন ১৮ বলে ৩৫ রান করা মারলন স্যামুয়েলস।
এমএএন/এমএমআর/পিআর