সোহানই শেষের নায়ক
শেষ ওভারে সিলেট সিক্সার্সের দরকার ১০ রান, হাতে ৫ উইকেট। এমন মুহুর্তে শুভাগত হোম চৌধুরীকে বোল্ড করে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবিয়ান পেসার ডোয়াইন ব্রাভো। ম্যাচে তখন টানটান উত্তেজনা। শেষ ৫ বলে সিলেটের দরকার সেই ১০ রানই, উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।
২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি করলেন ব্রাভো, বুদ্ধি করে স্লোয়ার দিলেন। সোহানও এগিয়ে এসেছিলেন অনেকটা, উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান বল ভাসিয়ে দিলেন বাতাসে। পুরো সিলেট স্টেডিয়ামে তখন শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনা, কি হতে কি হচ্ছে!
উপরে উঠে যাওয়া বলটি হয়তো ক্যাচ হবে, এমনটাই ভাবছিলেন অনেকে। শেষপর্যন্ত কোনোমতে সীমানা দড়ি পার হলো, বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো ফিল্ডার একটুর জন্য নাগাল পেলেন না। দারুণ এক ছক্কা!
পরের দুই বলে এক-এক করে রান আসলে ম্যাচে আবারও উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। শেষ দুই বলে সিলেটের দরকার দুই রান। ওই সময়ে একটি বল মিস হলে কি হতো বলা মুশকিল। চোখ বন্ধ করেই ব্যাট চালালেন সোহান। ইনসাইডেজ হয়ে বল চলে গেল থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে।
পুরো সিলেট স্টেডিয়াম তখন আনন্দে ভাসছে। সোহানের আনন্দ আর দেখে কে! ব্যাট হাতে বড় এক লাফ দিয়ে যেন বিশ্বজয়ের আনন্দে মাতলেন উদীয়মান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এমন উদযাপন তো তাকেই মানায়! মাত্র ১১ রান করেও তিনিই যে সিলেটের শেষের নায়ক!
এমএমআর/আইআই