বিপিএল জাতীয় দলের উন্নতিতে সহায়ক : সাকিব
আয়োজন, ব্যবস্থাপনা এবং ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পেতে রাজ্যের ভোগান্তি ছিল শুরুতে। এখন কিছুটা কম। তারপরও বিতর্ক ছাড়েনি বিপিএলে। কিছু কালো দাগ রয়েই গেছে। তবু ধারণা করা হয়, এ টি-টোয়েন্টি আসর খেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা উপকৃত হয়েছেন।
অনেক বিশ্ব মানের ক্রিকেটার ও তারকার সংস্পর্শে আসার সুযোগ হচ্ছে। একই দলে খেলা, একই নেটে প্র্যাকটিস করা, একই হোটেলে অবস্থান, ড্রেসিং রুম শেয়ার এবং মাঠে খেলা- সব মিলে দারুণ অভিজ্ঞতা। এ সব পরবর্তী সময়ে ভাল খেলার রসদ জোগায়। সাকিব আল হাসান তেমনটাই মনে করেন।
সাকিবের মতে, বিপিএল প্রথম থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তাই তার মুখে এমন কথা, ‘যদি প্রথমবারের বিপিএল থেকে দেখেন, তাহলে দেখবেন তারপর থেকে কিন্তু আমাদের ক্রিকেটে অনেক বড় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। আগে যখন কোনো টিম আড়াইশ-তিনশ রান করে ফেলতো, আমরা ভাবতাম যে আমরা করতে পারবো না। এখন যখন শেষ ২০ ওভারে দেড়শ রান লাগে আমরা কিন্তু জানি বিপিএলে এ রানটা চেজ করি, স্বাভাবিকভাবেই ওই আত্মবিশ্বাসটা তৈরী হয়ে যায়।’
বড় বড় বিদেশী খেলোয়াড়দের সাথে খেলাটাও জাতীয় দলে প্রভাব ফেলে, মনে করছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমরা যেহেতু বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ারদের সাথে খেলছি। আমরা জানি কে কী করে, সবার সম্পর্কে ধারণাও পরিষ্কার হতে থাকে। সবদিক থেকে মনে হয় এটা পজিটিভ দিক।’
সাকিব পাঁচজন বিদেশী খেলানোর পক্ষে। তার মতে, ‘ওভারঅল বিপিএলের দিক থেকে এটা আরেকটু বেটার হবে। যেহেতু একজন বিদেশি প্লেয়ার বেশি আছে তো আকর্ষণ ও উত্তেজনাও থাকবে বেশী। প্রতিযোগিতাও আরেকটু বেশি থাকবে। এবং বেশিরভাগ দলই প্রায় সমশক্তির। খুব কঠিন কম্পিটিশন হবে। যেটা দেশের ক্রিকেটের জন্য ভাল।’
আরআইবি/এমএমআর/আইআই