রাজকীয় দল গড়তে পারেনি কিংসরা
গতবারের রানার্সআপ দল রাজশাহী কিংস। স্বভাবতই তাই এবার আরও শক্তিশালী দল গড়ার কথা ছিল তাদের। তবে যতটা শক্তিশালী ভাবা হচ্ছিলো, অতটা দল গড়তে পারেনি কিংসরা।
দলটির আইকনেও এসেছে পরিবর্তন । ঘরের ছেলে মুশফিককে এবার ঘরে ফিরিয়েছে যমুনা পাড়ের দলটি। রাজশাহীতে মুশফিকের সাথে বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা কাটার স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ইনজুরিতে পড়া মোস্তাফিজকে পেলেও রাজশাহী তাকে কতটা ব্যবহার করতে পারবে, সে নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। বাঁ-হাতি এই পেসার পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পাননি এখনও।
মুশফিক-মোস্তাফিজ ছাড়াও দলটিতে রয়েছেন মুমিনুল হক, ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসান মিরাজের মত তরুণ ক্রিকেটাররা।
তবে দলটির সবচেয়ে বড় শক্তি ক্যারিবীয় ক্রিকেটার ড্যারেন সামি। যার একক নেতৃত্বে গতবার ফাইনালে পৌঁছেছিল রাজশাহী। এবারও তিনি রাজশাহীর অধিনায়ক। নেতৃত্ব তাকে কখনও ছোঁয় না। এ কারণেই তিনি নির্ভার হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন।
রাজশাহীকে পথ দেখাতে থাকছেন অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল। গতবার রাজশাহীর জার্সিতে তিনি সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন। ১৫ ম্যাচে ২৮৮ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে তুলে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। নটিংহ্যামশায়ারের জার্সিতে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে, ৪০ গড়ে করেছেন ৪০৫ রান।
এবারে রাজশাহীর কোচ হিসেবে থাকছেন সরোয়ার ইমরান। ২০১২’তে বিপিএলের প্রথম আসরে তার কোচিংয়ে মুগ্ধ ছিল অনেক ক্রিকেট বোদ্ধা। ক্রিকেটারদের ট্যালেন্ট কাজে লাগিয়ে তাদের টেকনিক্যাল দিকগুলো বেশ ভালোই কাজে লাগাতে পটু দেশি এই কোচ।
রাজশাহী কিংস
দেশি : মুশফিকুর রহীম (আইকন), মোস্তাফিজুর রহমান, মুমিনুল হক, ফরহাদ রেজা, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাহির হাসান, নিহাদুজ্জামান, রনি তালুকদার, হোসাইন আলি, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, কাজি অনিক।
বিদেশি : ড্যারেন স্যামি, লুক রাইট, কেসরিক উইলিয়ামস, লেন্ডল সিমন্স, ম্যালকম ওয়ালার, সামিত প্যাটেল, মোহাম্মদ সামি, জেমস ফ্রাঙ্কলিন, উসামা মির, রাজা আলি দার।
এমএএন/আইএইচএস/আইআই