রাজা-মুরের ব্যাটে লড়ছে জিম্বাবুয়ে
প্রথম ইনিংসে ১২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমেও বড় বিপদে ছিল জিম্বাবুয়ে। দলকে সে বিপদ থেকে উদ্ধার করে স্বাগতিকদের আশা দেখাচ্ছেন সিকান্দার রাজা আর পিটার মুর। এই যুগলের ব্যাটে চড়ে বুলাওয়ে টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে।
এখনও বিপদ আছে, লিডটা মাত্র ১৮ রানের। তবে রাজা আর মুরের ব্যাটে অন্ততপক্ষে ম্যাচে বেঁচে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। শেষ দিনে ভালো একটি জুটি এই টেস্টে বাঁচিয়েও দিতে পারে স্বাগতিকদের।
প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ৪৬ রানে ৪টি উইকেট হারিয়ে বসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন রাজা-মুর। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে এখন পর্যন্ত তারা যোগ করেছেন ৯৪ রান। রাজা ৫৮ আর মুর ৩৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।
এর আগে, ২৩০ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ভীষণ বিপদে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেসন হোল্ডার আর শেন ডোরিচের জোড়া শতকে ভর করে গড়ে ৪৪৮ রানের পাহাড়সমান পুঁজি।
জেসন হোল্ডার আর শেন ডোরিচ-আগের দিনই বিপর্যয় আটকে দিয়েছিলেন। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি তুলে নেন দু'জনই। হোল্ডার আউট হন ১১০ রানে। শেন ডোরিচ করেন ১০৩ রান। সেঞ্চুরিয়ান এ দুই ব্যাটসম্যানকেই আউট করেন বাঁহাতি পেসার টেন্ডাই চিসুরু। সিকান্দার রাজার ৫ উইকেটের পর তিনি নেন ৩টি উইকেট।
অষ্টম উইকেটে হোল্ডার আর ডোরিচের জুটিটি ২১২ রানের। এ উইকেটে টেস্ট ইতিহাসের নবম সেরা জুটি এটি। অষ্টম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের জোনাথান ট্রট আর স্টুয়ার্ট ব্রডের। ২০১০ সালে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৩২ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
কাইরন পাওয়েলের ৯০ রানে ভর করে একটা সময় ৪ উইকেটে ২১৯ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হঠাৎই কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা। শেষপর্যন্ত এ বিপদ কাটিয়ে আবারও দলকে চালকের আসনে নিয়ে যায় হোল্ডার-ডোরিচ জুটি।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার (১৪৭) দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ৩২৬ রানে অলআউট হয়েছিল।
এমএমআর/জেআইএম