সভাপতি হিসেবে সবাই চায় আমাকে : পাপন
২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের আর ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়নি। নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেল থেকে একজন মাত্র প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি। হেরে গেছেন। তিনি; বরিশালের আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু।
বরিশাল জেলার কাউন্সিলর হিসেবে বরিশাল বিভাগে নির্বাচন করে হেরে গেছেন আগের চার বছর পরিচালক পদে থাকা এ ক্রিকেট সংগঠক। নির্বাচন করে কিংবা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়- যেভাবেই নির্বাচিত হোন না কেন, নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেলের ৯৯ ভাগ জয়ী। শুধু আবদুল আওয়াল চৌধুরী ভুলই জিততে পারেননি।
প্যানেল থেকে এক জনই হেরে গেলেন। এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি? ভোট ও ফলাফল ঘোষণা শেষে নাজমুল হাসান পাপনের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে, তিনি বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কাউকেই ভোট দিতে বলিনি। গতবার আমাদের সঙ্গে ছিল ভুলু। এবার সে আসতে পারেনি। আমরা তাকে অনেক মিস করবো। সে আসলে ভালো হতো। নতুন যিনি এসেছেন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ। তার এতো বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে দেবে।’
‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’- এমন মন্তব্য করে আবারও বিসিবি সভাপতি হতে যাওয়া নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি যতটুকু দেখেছি, আমার কাছে মনে হয়েছে সুষ্ঠভাবে হয়েছে নির্বাচন। প্রত্যেক প্রার্থী যারা ছিল তারা আমার কাছে নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।’
পরিচালক পর্ষদ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ। ২৫ পরিচালক নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এখন নতুন সভাপতি নিয়োগের পালা। পরিচালকদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন পরবর্তী চার বছরের জন্য নতুন সভাপতি।
বোর্ড প্রধান পদে নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‘এখন যেহেতু আমাদের পরিচালক নির্বাচন হয়ে গেছে, কালকে (বুধবার) আমরা সভাপতি নির্বাচনে বসব। এখন পর্যন্ত আগের অবস্থানই আছে। প্রত্যেক পরিচালক আমার কাছে জানিয়েছে, আমাকেই সভাপতি হিসেবে চায়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই আছে।’
আগামীকাল সব পরিচালককে আমরা ডেকেছি, ওইদিন সাড়ে তিনটায় সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওখানে দুটি জিনিস করবো। একটা হস্তান্তর করার একটি প্রক্রিয়া আছে। আমরা সবাই এখানে উপস্থিত আছি, সবকিছু নতুন কমিটির কাছে হস্তার করার বিষয় আছে। হস্তান্তর প্রক্রিয়া কালকে করতে পারি। আজকে আমরা আলাপ করেছি। এখন পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচনের জন্য তাদের একটাই প্রার্থী, সেটা হচ্ছি আমি। যদি সভাপতি প্রার্থী না থাকে তাহলে নির্বাচন হবে না। যেহেতু কোনো প্রার্থী নেই সেহেতু আমিই আবার হচ্ছি।’
এআরবি/আইএইচএস/এমএস