ঘরের মাঠেও শ্রীলঙ্কাকে হারাল পাকিস্তান
মাস দেড়েক আগে পাকিস্তানে এসে খেলে গেছে বিশ্ব একাদশ। আইসিসি সেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দিলেও আক্ষরিক অর্থে আন্তর্জাতিকের কোনো আবহ তাতে ছিল কি না সন্দেহ। এবার সত্যিকারার্থেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহ পেল পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা। জিম্বাবুয়ে বাদ দিলে ২০০৯ সালে লাহোর হামলার পর এই প্রথম কোনো আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ পাকিস্তানে খেলতে এলো।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলার জন্যই পাকিস্তান এলো শ্রীলঙ্কা। যাদের ওপর সাড়ে আট বছর আগে এই লাহোরেই নারকীয় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল উগ্রবাদীরা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ রাতে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিজ দেশের দর্শকদের সামনে ৩৬ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিল সরফরাজ আহমেদের দল।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন শোয়েব মালিক। আর বল হাতে টর্নেডো চালিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। মূলত এ দু’জনের হাতেই বিধ্বস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শোয়েব মালিক। আর বল হাতে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।
টস জিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাট করতে নেমে ফাখর জামান আর উমর আমিন মিলে ৫৭ রানের দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। ৩১ রান করে আউট হন ফাখর জামান। ৪৫ রান করেন উমর আমিন। এরপর বাবর আজম আর শোয়েব মালিক মিলে জুটি গড়েন।
৩১ বলে বাবর আজম ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও শোয়েব মালিক ২৪ বলে ৫১ রান করে আউট হয়ে যান। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম আশরাফ। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৯ রান করে গুনাথিলাকা, দিলশান মুনাবিরা ১ রান, ৪ রান করেন সামারাবিক্রমা, ১১ রান করে উদাওয়াত্তে ফিরে যান। শুরুর আঘাতটা হানেন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হাফিজ আর ইমাদ ওয়াসিম। এরপর শেষের দিকে লেজমুড়ে দেন আমির একাই। দাসুন সানাকা ৩৬ বলে ৫৪ রান করলেও লঙ্কানদের পরাজয় ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না।
আমিরের ৪ উইকেট ছাড়াও ২ উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, ১ উইকেট করে নেন ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ এবং হাসান আলি। তিন ম্যাচের সিরিজে লঙ্কানদের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান।
আইএইচএস/বিএ