অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের খোঁচা ওকসের
অ্যাশেজ শুরুর আগেই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কথার লড়াই জমে উঠেছে বেশ। কে কাকে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে পেছনে ফেলবেন, চলছে সে প্রতিযোগিতা। ক্রিস ওকসই যেমন খোঁচা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের। অজি দলে পেস আক্রমণে তেমন গভীরতা নেই, এমন মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
বেন স্টোকস না খেললে তো ইংল্যান্ড শেষ, সিরিজ শুরুর আগেই ইংলিশদের মন ভাঙতে এমন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? ক্রিস ওকস তো প্রশ্নই তুলে দিলেন, অজি দলের পেস আক্রমণের গভীরতা নিয়ে। গোটা দুয়েক বোলারের ওপর অস্ট্রেলিয়া দল নির্ভরশীল, এমন খোঁচাও দিয়েছেন ইংলিশ এ পেসার।
গতবার জিতলেও অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ (২০১৩-১৪) অ্যাশেজ সফরে ৫-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইংল্যান্ড। মিচেল জনসনের গতিঝড়ে সেবার রীতিমতো নাকাল হয়েছিল ইংলিশরা। এবারও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স আর জশ হ্যাজলউডের ঝড় সামলাতে হবে সফরকারীদের।
তবে ওকস খুঁচিয়ে বের করছেন অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা। স্টুর্য়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে গড়া ইংলিশ বোলিং আক্রমণও শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকবে না, সতর্কবার্তা ইংলিশ পেসারের, 'অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের গতি আছে। তবে প্যাট কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খুব বেশি টেস্ট খেলেননি। আমাদের থেকে তাদের পেস বেশি হতে পারে। তবে ইংল্যান্ড দলে ব্রড, অ্যান্ডারসনের মত সেরা বোলার আছেন। সঙ্গে আমি এবং অন্যরা মিলে ওদের সমস্যায় ফেলব বলেই মনে হয়।'
এইটুকু বলার পর আসল খোঁচাটা দিয়েছেন ওকস। ইংলিশ পেসারের মতে, অস্ট্রেলিয়া দলে তো তেমন কোনো ব্যাক-অাপ বোলার নেই। স্টার্ক, হ্যাজলউড আর কামিন্স; তিন বোলারের মধ্যে কেউ ছিটকে পড়লে তাদের ভীষণ বিপদে পড়তে হবে, এমন ভয় দেখাচ্ছেন তিনি, 'তিনজনের কথা বাদ দিলে তাদের খুব বেশি ব্যাক-আপ বোলার আছে বলে মনে হয় না। এ তিনজনেরও ইনজুরির রেকর্ড আছে। যদি তাদের কেউ আবারও বিপদে পড়েন, অস্ট্রেলিয়া কিভাবে সেটা সামলাবে? তারা তো উইকেটরক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও একজনকে পাচ্ছে না।'
এমএমআর/জেআইএম