ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে ঢাকা আর বরিশাল বিভাগে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

যা ভাবা হচ্ছিল তাই হতে যাচ্ছে। বিসিবি পরিচালক পর্ষদ নির্বাচনে বিজয়ের পথে নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেল। গত ২০ অক্টোবর বিকেলে বিসিবির সদ্যবিদায়ী সভাপতি যে ২৪ সদস্যের (ঢাকা বিভাগে একজনের নাম ঘোষণা বাকি ছিল) প্যানেল ঘোষণা করেছেন, তার প্রায় সবাই আগামী চার বছরের জন্য পরিচালক নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে ঢাকার ক্লাব কোটার ১২ জন, ক্রিকেটার্স কোটার একজন এবং জেলা ও বিভাগের সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার পথে। এর সঙ্গে যুক্ত হবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আরও দুজন। মোট ২৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হবার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। কারণ ওই সব পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই নেই।

আগেই বোঝা যাচ্ছিল ঢাকার ক্লাব কোটায় নির্বাচন হবার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। কারণ ক্লাব কোটার ৫৮ কাউন্সিলরের মধ্যে যে ১৪টি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে, তার সবগুলো নাজমুল হাসান পাপনের প্যানেলের। তারা শেষ পর্যন্ত সব হিসাব-নিকাশ কষেই ১২ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেবেন। তারাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক পদে নির্বাচিত হবেন।

যদিও গত শুক্রবার ১২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও ওই ১২ জনের মধ্যে দু’একটি নাম এদিক-ওদিক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই ১২ জনের কেউ চলে যাবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায়, আর এনএসসির কোটার কেউ ঢুকে পড়তে পারেন ঢাকার ক্লাব কোটায়।

এর বাইরে আর কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই ক্যাটাগরি ও পদে আর কেউ মনোনয়নপত্র তোলেননি। তবে আগে যেমনটা ধারণা করা গিয়েছিল, তা সত্য হতে যাচ্ছে।

ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কারণ দুই বিভাগেই একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন তুলেছেন। ওই দুই বিভাগে নাজমুল হাসান পাপনের প্রার্থী হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় (ঢাকা বিভাগ) আর আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু (বরিশাল বিভাগ)।

ঢাকা বিভাগ থেকে আরও কয়েকজন নির্বাচন করবেন। মানিকগঞ্জের কাউন্সিলর নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাউন্সিলর তানভির আহমেদ টিটু, নরসিংদীর শাহিন জুয়েল, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জুনায়েত হোসেন এবং গোপালগঞ্জের শেখ নাইমও মনোনয়নপত্র তুলেছেন।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শেখ সেলিম তনয় শেখ নাঈম শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নাও দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী কমে যাবে। তবে নারায়ণগঞ্জের তানভির আহমেদ টিটু আর কিশোরগঞ্জের সৈয়দ আশফাকুল ইসলামের (সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই) মনোনয়ন জমা দেবার সম্ভাবনা খুব বেশি। সে ক্ষেত্রে ঢাকা বিভাগে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তিনজনের মধ্য থেকে দুজন নির্বাচিত হবেন।

বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রথম টেস্ট অধিনায়ক এবং মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের পাল্লা ভারি। তার জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বাকি দু’জনার মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

ওদিকে বরিশাল বিভাগে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পাপন প্যানেলের প্রার্থী ও সদ্যবিদায়ী পরিচালক পর্ষদের অন্যতম সদস্য আব্দুল আওয়াল চৌধুরী ভুলু। তার সঙ্গে লড়ছেন বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলো।

আগামীকাল মনোনয়নপত্র জমার দিন। মঙ্গলবারই জানা যাবে শেষ পর্যন্ত কে কে নির্বাচন করবেন?

এআরবি/আইএইচএস/আইআই/বিএ

আরও পড়ুন