নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশের উইকেট পতন
দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৭০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। প্যাটারসনের টানা দুই ওভারে আউট হন ইমরুল কায়েস আর লিটন দাস। এরপর কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৮ রান করা সৌম্য সরকার।
মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে সাকিব আল হাসান ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ৩১ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন তারা। দলের রান পঞ্চাশ পেরুনোর পর সেই জুটিটাও ভেঙে গেছে। মুশফিক ৮ রান করে ফেহলুকাওকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিড-অফে। এরপর সাকিব মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে জুটি বাধতে চাইলে তাও ভেঙ্গে দেন মালদার।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে মালদারের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এই অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটসম্যান। ফলে ২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এর আগে, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল কায়েস। প্যাটারসনের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র একটি রান নিতে পেরেছিলেন এই ওপেনার। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্যাটারসনের আরেক আঘাত। ৬ রান করে লিটন দাস এবার এলবিডব্লিউয়ের শিকার।
বাফেলো পার্কে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে ৩৭০ রান করতে হবে। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেট হারিয়ে করে ৩৬৯ রান।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন সাব্বির রহমান। সাকিব আল হাসান ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৩ রান।
উল্লেখ্য, বাফেলো পার্কে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১১ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ বছর ঐ রানই ছিল এ মাঠের সর্বোচ্চ। পুরোনো রেকর্ড ভেঙে আজ নতুন রেকর্ড গড়ছে প্রোটিয়ারা। নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে ৩৭০ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই মাঠেরই সর্বোচ্চ না। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে বেনোনিতে ৩৫৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ বছর পর নতুন উচ্চতায় উঠল প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করেছে ফাফ ডু প্লেসির দল। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয় সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছেন ডু প্লেসিস। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি এসে ফিরে যেতে হয় ফাফ ডু প্লেসিকে। কোমড়ে টান লাগায় মাঠ থেকে বেরিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। মাশরাফির বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে কল দেন ডু প্লেসি।
প্রথম রান ভালোমতই নিয়েছিলেন ডু প্লেসি। কিন্তু দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় তার কোমড়ে টান পড়ে। রান পূর্ণ করলেও মাঠে থাকতে পারেননি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ডি কক । তিনি ৬৮ বলে ৭৩ রান করেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন মার্করাম।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও মিরাজ দু'টি করে উইকেট নেন। রুবেল একটি উইকেট নেন। আর মার্করামকে রান আউট করেন ইমরুল কায়েস।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম