চার বছরের সফলতা তুলে ধরলেন পাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। মেয়াদোত্তীর্ণের দিনে বিসিবিতে এসেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। শুনিয়েছেন গত চার বছরে তার বোর্ডের সফলতার গল্পও।
বোর্ডের সফলতা বলতে ভারতের মাটিতে সিরিজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত একটা টেস্ট প্রথমবারের মতো ভারতে গিয়ে খেলে এসেছি। এটা আমি মনে করি মেজর ইস্যু ছিল যেটা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। এর ফলশ্রুতিতে দেখেন সামনে ২০১৯ সাল থেকে যে আমাদের নতুন এফটিপি করা হয়েছে। সেখানে কিন্তু ভারতে গিয়ে ফুল সিরিজ আছে বাংলাদেশের।’
বোর্ড কতটা সফল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল ভালো খেলেছে, এটা তো অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। আবার খারাপও খেলেছে। ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিশ্বকাপে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে গেলাম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা কোয়ালিফাই করি না, সেই জায়গায় সরাসরি গিয়েই সেমিফাইনালে যাওয়া এগুলোই মাইলস্টোন। কিন্তু দেশের মাটিতে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। এই প্রথমবার পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জিতেছি। এটা তো একটা বিরাট ব্যাপার। ভারত, সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জিতেছি। এটা তো অকল্পনীয় ছিল আগে, যে আমরা সিরিজ জিতব, হঠাৎ একটা ম্যাচ জিততাম কিন্তু কখনো সিরিজ জিতিনি।’
আবার বোর্ড প্রধান হলে অধরা ‘র্যাঙ্কিং ৫’ এ যেতে চান পাপন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘র্যাঙ্কিংয়ের একটা স্বপ্ন তো রয়েই গেল। আমার ইচ্ছা ছিল পাঁচে যাব। বলেছিলামও আপনাদের। পাঁচ হয়নি, পাঁচ হওয়া উচিত ছিল। না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা পাঁচে উঠে যাব। সামনে এটাই হবে চ্যালেঞ্জ, পাঁচের মধ্যে চলে আসা প্রথম ধাপে।’
খেলোয়াড়দের ফিজিক্যাল সমস্যা দূর করতে আলাদা দলের কথাও বলেন তিনি। পাপন বলেন, ‘আরেকটা সমস্যা দেখেন, আগে টিমের খেলা কম হতো। এখন যখন খেলা বেশি হচ্ছে, ফিজিক্যাল ফিটনেস হয়ে যাচ্ছে মেজর ইস্যু। দেখেন, নিউজিল্যান্ডে যখন খেলতে গেল কতগুলো প্লেয়ার ইনজুরড। ফিজিক্যাল ফিটনেস একটা বড় ইস্যু। সেট টিম যদি কন্টিনিউয়াস খেলতে থাকে, ব্রেক না দেন, সেটা কিন্তু অসম্ভব। সেপারেট টিম হওয়া উচিত। ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি যদি ভাগ না করি ২০১৯ থেকে আমরা প্রবলেম ফেস করবো।’
মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতি পাপনই থাকবেন। তবে বড় কোনো সিদ্ধান্তও তিনি নিতে পারবেন না।
এমএএন/বিএ