মাশরাফি-সাকিবে ছন্দে ফিরবে তো বাংলাদেশ!
টেস্ট সিরিজে প্রতিরোধ বলতে কিছুই করতে পারেনি। পচেফস্ট্রম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩২০ ছাড়া বলার মত আর কোনো ব্যাটিংই করতে পারেনি। ৯০, ১৪৭ এবং ১৭২ রানের তিন ইনিংসেই টেস্ট সিরিজে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২১ টেস্ট পর এসে ইনিংস পরাজয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের সাক্ষী হতে হলো টাইগারদের।
সেই পরাজয়ের ধকল সয়ে ওঠার জন্য কয়েকটা দিন সময় হাতে পেলো বাংলাদেশ শিবির। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। যদিও সেই প্রস্তুতি ম্যাচেও অবস্থার উন্নতি মোটেও হয়নি। বরং, ওই ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
তবুও বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে মানসিক শক্তির উৎস, দলের দুই সেরা পারফরমার এবং মোটিভেটর- যাই বলা হোক না কেন, তারা উপস্থিত হয়ে গেছেন দলীয় শিবিরে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, যিনি আবার সম্প্রতি এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
একেবারে নির্দিষ্ট করে বললে, এ দু’জন হলেন দলের নিউক্লিয়াস। মাশরাফি তো এমনিতেই টেস্ট খেলেন না। তবে সাকিবের অনুপস্থিতি টেস্ট সিরিজে পদে পদে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। ছুটি নিয়ে বিশ্রামে ছিলেন তিনি এই সিরিজে। বিশ্রাম কাটিয়ে অবশেষে ওয়ানডে দলে ফিরলেন তিনি। আরেকজন নিউক্লিয়াস, ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবালও সুস্থ হওয়ার পথে। তারও খেলার কথা রয়েছে প্রথম ওয়ানডে।
সুতরাং, হতাশা কাটিয়ে বাংলাদেশ দলে কিছুটা উজ্জীবিতভাব। ওয়ানডে ফরম্যাটে গত দু’দিন বছরের টানা সাফল্য বাংলাদেশকে আরও স্বপ্ন দেখাচ্ছে। টেস্ট সিরিজের হতাশা কাটিয়ে যদি ওয়ানডে ফরম্যাটে ছন্দে ফেরা যায়! মাশরাফি-সাকিবের দলে ফেরার কারণে সেই ছন্দটা পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সেই ছন্দ ফেরাতেই রোববার বাংলাদশে সময় দুপুর ২টায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশ যদি ওয়ানডে সিরিজটা খুব সহজ হবে ভেবে নেয়, তাহলে বোকামিই করবে। কারণ, এমনিতেই স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী। তারওপর, দলে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে যার স্বীকৃতি রয়েছে। সঙ্গে দলে ফিরেছেন জেপি ডুমিনি এবং মিডল অর্ডারে ডেভিড মিলার।
বিশেষ করে কিম্বারলির যে ডায়মন্ড ওভালে খেলতে নামবে বাংলাদেশ, ওই মাঠে সর্বশেষ পাঁচটি ওয়ানডের মধ্যে তিনটিতেই সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে রয়েছে ক্যারিয়ার সেরা ১৯৫ বলে ১৭৭ রানের ইনিংসটি।
তবুও বাংলাদেশ আশাবাদী মাশরাফি আর সাকিব দলে রয়েছেন বলে। প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিব ভালো ব্যাট করেছেন। মাশরাফির ক্ষুরধার নেতৃত্ব হয়তো ছোট ছোট ভুলগুলো শুধরে দিতে সহযোগিতা করবে। মুশফিকও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারবেন। ফাস্ট বলে মাহমুদউল্লাহ খেলেন দুর্দান্ত। স্পটলাইটটা তার ওপরও থাকবে বেশি। যদিও কাগিসো রাবাদা এবং ইমরান তাহিরকে মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশকে।
আইএইচএস/জেআইএম