জোড়া সেঞ্চুরিতে বিপদে বাংলাদেশ
পচেফস্ট্রমের পর ব্লুমফনটেইনেও বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে দলের সংগ্রহটা বড় করছেন, মাইলফলক ছুঁয়েছেন নিজেরাও। ডিন এলগার আর এইডেন মার্করামের জোড়া সেঞ্চুরিতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিনা উইকেটেই ২১১ রান তুলে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগের টেস্টের পুনরাবৃত্তিই যেন হচ্ছে ব্লুমফন্টেইনে। টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো, আবারও রান পাহাড়ে চাপা পড়া। বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার খরব, এবার প্রোটিয়া দুই ওপেনার হাজির হয়েছেন আরও ভয়ংকররুপে। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেছিলেন ১৯৬ রান। এবার এই জুটি ছাড়িয়ে গেছে দুইশর কোটাও।
আগের টেস্টে অল্পের জন্য সেঞ্চুরিটা পাননি এইডেন মার্করাম। আউট হয়েছিলেন ৯৭ রানে। এবার আর ভুল করেননি এই ওপেনার। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৪২ বলে ১৬ বাউন্ডারিতে তিনি অপরাজিত আছেন ১০১ রানে।
তার আগেই অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গেছেন ডিন এলগার। ১২২ বলে ১৭ চারের সাহায্যে তিনি ব্যাট করছিলেন ১০৫ রান নিয়ে।
প্রসঙ্গত, ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে।
৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে চার পরিবর্তন এসেছে। তামিমের ইনজুরির কারণে সৌম্য সরকারের একাদশে ফেরা নিশ্চিত ছিল। আর প্রথম ম্যাচ শেষে প্রকাশ্যে বোলারদের সমালোচনার পর অনুমিতই ছিল বোলিং লাইনে পরিবর্তনটা। তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে দলে এসেছেন রুবেল হোসেন, শুভাশিস রায় ও তাইজুল ইসলাম।
এদিকে, প্রথম টেস্টে সহজেই জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলে পরিবর্তন এনেছে মাত্র একটি। আগের টেস্টে মরনে মরকেলের ইনজুরিতে দলে ঢুকেছেন বাঁহাতি পেসার ওয়েইন পারনেল। ২০০৭ সালের জানুয়ারির পর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট খেলছেন স্টেইন-ফিল্যান্ডার-মরকেল এই তিনজনকে ছাড়া।
এমএমআর/পিআর