উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে কোনো ধরণের হুমকিই তৈরি করতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম টেস্টের মতই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করছে স্বাগতিকরা। ব্লুমফন্টেইনে টাইগারদের নির্বিষ বোলিংকে কাজে লাগিয়ে বিনা উইকেটে ১২৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের লাঞ্চে গেছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল।
উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে যে দক্ষিণ আফ্রিকা খুব দেখেশুনে এগেয়েছে এমন নয়। প্রথম সেশনে প্রোটিয়ারা রান তুলেছে ৪.৩৪ গড়ে। এক মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া বাংলাদেশের কোনো বোলারকেই সমীহ করেনি স্বাগতিকরা। মোস্তাফিজ ৬ ওভারে ১৩ রান দিয়েছেন। মেডেন পেয়েছেন ২টি।
লাঞ্চে যাওয়ার আগে ডিন এলগার অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যান চলতি বছরে এক হাজার রান পূরণ করেছেন শুভাশীষ রায়কে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। আগের টেস্টে অভিষেক হওয়া এইডেন মার্করামও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। ডানহাতি এই ওপেনার অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে।
ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টেস্ট হচ্ছে অনেকটা বিরতির পর। এখানে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে।
৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে চার পরিবর্তন এসেছে। তামিমের ইনজুরির কারণে সৌম্য সরকারের একাদশে ফেরা নিশ্চিত ছিল। আর প্রথম ম্যাচ শেষে প্রকাশ্যে বোলারদের সমালোচনার পর অনুমিতই ছিল বোলিং লাইনে পরিবর্তনটা। তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে দলে এসেছেন রুবেল হোসেন, শুভাশিস রায় ও তাইজুল ইসলাম।
এদিকে, প্রথম টেস্টে সহজেই জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলে পরিবর্তন এনেছে মাত্র একটি। আগের টেস্টে মরনে মরকেলের ইনজুরিতে দলে ঢুকেছেন বাঁহাতি পেসার ওয়েইন পারনেল। ২০০৭ সালের জানুয়ারির পর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট খেলছেন স্টেইন-ফিল্যান্ডার-মরকেল এই তিনজনকে ছাড়া।
এমএমআর/জেআইএম