এনসিএলের সব ম্যাচেই পয়েন্ট ভাগাভাগি
জাতীয় লিগের এবারের প্রায় সবগুলো খেলাই পড়ছে বৃষ্টির কবলে। আগের দুই রাউন্ডে কোনোটা বৃষ্টির কবলে পড়লেও কোনোটা শেষ হয়েছিল ভালোভাবে। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে এসে চার ম্যাচের সবগুলোই পড়েছিল বৃষ্টির কবলে। যে কারণে চার ম্যাচের তিনটিতে কোনো ফলই হলো না। হয়েছে নিষ্প্রাণ ড্র। বাকি ম্যাচটিতে কোনো বলই মাঠে গড়াতে পারলো না। ফলে ওই ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা-খুলনা, রংপুর-বরিশাল এবং রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো- এই তিনটি ম্যাচ শেষ হয় অমিমাংসিতভাবে, ড্র দিয়ে। বাকি দ্বিতীয় স্তরের চট্টগ্রাম বিভাগ এবং সিলেট বিভাগের ম্যাচটিতে বৃষ্টির কারণে মাঠেই খেলা গড়ায়নি। সুতরাং, এই ম্যাচটি পুরোপুরি বাতিল।
ঢাকা-খুলনা : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ আর খুলনা বিভাগের ম্যাচটি বৃষ্টির কবলে পড়লেও যে টুকু খেলা হয়েছে- তাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিল ঢাকা বিভাগ। নাদীফ চৌধুরী আর মোশাররফ হোসেন রুবেলের দুর্দান্ত জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ৫১৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। তাইবুর রহমান করেন ৭৯ রান।
জবাবে খুলনা বিভাগ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ২৪৭ রানে। নাহিদুলের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ফলো অন এড়াতে পারেনি রাজ্জাকের খুলনা। তবুও খুলনাকে ফলো অন করায়নি ঢাকা। তারা নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে এবং ৯০ ওভার ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে। এরপরই শেষ হয় যায় চতুর্থ দিনের খেলা। ফলে ম্যাচ শেষ হয় অমিমাংসিতভাবে, পয়েন্ট ভাগাভাগি করে। ম্যাচ সেরা হন নাদীফ চৌধুরী।
রংপুর-বরিশাল : রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগ এবং বরিশাল বিভাগের ম্যাচটি মাঠে গড়ালেও খেলা হয়েছে মোটে ১৬.২ ওভার। তাতে রংপুর বিভাগ ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৬১ রান। সোহরাওয়ার্দি শুভ ৩৪ এবং জাহিদ ২৪ রান নিয়ে ব্যাট করছিল। এরপরই নামে বৃষ্টি। এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় বলই মাঠে গড়াতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। ফলে ম্যাচ ড্র।
রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো : খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরে রাজশাহী বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটিও হলো ড্র। বৃষ্টি কবলিত ম্যাচে রাজশাহী প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭৭.১ ওভার ব্যাট করে সংগ্রহ করে ২২০ রান। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৮৫, মিজানুর ৬৫ এবং ফরহাম হোসেন করেন ১৫ রান। ডলার মাহমুদ এবং শরিফউল্লাহ নেন ৩ উইকেট। আবু হায়দার রনি নেন ২ উইকেট।
ঢাকা মেট্রো ব্যাট করতে নেমে ১২০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩২৯ রান। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে তারা। মার্শাল আইয়ুব করেন ১৩১ রান। মেহরাব জুনিয়র করেন ৮৯, ডলার মাহমুদ করেন ৪৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী ৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১ রান করার পরই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।
আইএইচএস/জেআইএম