ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এজিএম তো হলো, কবে হবে বিসিবির নির্বাচন?

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০১৭

চলতি মাসের ১৩ তারিখই মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের। ফলে এজিএম এবং ইজিএম পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল 'কবে হচ্ছে নির্বাচন?' নির্বাচন কবে হচ্ছে তার উত্তর না দিতে পারলেও কীভাবে হচ্ছে তার উত্তর দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে আর সেই কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে কবে হবে নির্বাচন- এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

তিনি বলেন, 'এখন তো এটা (সংশোধিত গঠনতন্ত্র) আমরা এনএসসিতে পাঠাব। আজকে যেহেতু এটা শেষ হয়ে গেল। এনএসসিতে সাধারণ যে সিস্টেমটা আছে। আমাদের গঠনতন্ত্রে যা আছে। আমরা এনএসসির কাছে পাঠাব স্বীকৃতির জন্য। এনএসসি থেকে অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথে একটা বোর্ড মিটিং ডাকব। বোর্ড মিটিং ডেকে আমরা একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করব। তারপর নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কবে, কীভাবে নির্বাচন হবে।'

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে নির্বাচন দেয়া সম্ভব হবে কি না বা কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, 'আমার জানা মতে, আমরা এখানে কন্টিনিউ করব নাকি মেয়াদ বাড়ানো হবে নাকি কোনো এডহক কমিটি আসবে সেটা কিন্তু গঠনতন্ত্রে কোনো গাইডলাইন নেই। কাজেই এটার ব্যাপারে আমাদের এনএসসির হেল্প চাইতে হতে পারে। তবে গঠনতন্ত্রে যেটা বলা আছে, নির্বাচনের পরে ১৫ কার্যদিবস পরে ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের জানা মতে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন ঘোষণা করে দেই তাহলে যে জিতে আসবে নির্বাচনের পর তাদের সেই সময় আমরা দায়িত্ব হস্তান্তর করব। এটাই আমাদের জানা।'

তবে দৈনন্দিন কাজ ও আসন্ন আইসিসি সভায় অংশ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও তাদের সাহায্য করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পাপন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তবে দৈনন্দিন কাজটা স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে বিসিবি। আমাদের ধারণা, এটাও একটা সম্ভাবনা আছে। তবে এই সিদ্ধান্তটা এই মুহূর্তে আমরা নিতে পারছি না। আমার বোর্ড মিটিংয়ে আলাপ করতে হবে, এনএসসির সাথে আলোচনা করতে হবে। লিগ্যাল এডভাইজ নিতে হবে। যেটা নিয়ম মতো হবে আমরা সেটাই করব।'

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিসিবির কাউন্সিলরশিপে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কোটা তিনটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে, সংশোধিত গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন কেবল এটিই। এমনকি ভবিষ্যতে এনএসসির কোটা নাও থাকতে পারে বলে পাপন জানান।

এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন