ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মুশফিকই জানেন না শেষ কবে এত কম রান হয়েছিল!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০১৭

সাম্প্রতিক অতীতে এত কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। হয়তো এক সময় নিয়মিতই এত কম রানে অলআউট হয়ে যেতো বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিকইনফোর রেকর্ড ঘেঁটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর দেখতে গেলে সেখানে সর্বশেষ ২০১৪ সালে একটি স্কোরের দেখা মিলবে, যেটাতে ১৬০-এর ঘরে (১৬১) অলআউট হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৩ সালে একটি আছে, যেখানে অলআউট হয়েছিল ১৪৭ রানে।

এছাড়া বাংলাদেশ সর্বশেষ কবে এত কম রানে অলআউট হয়েছে? বলা খুব মুস্কিল। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমই জানেন না, শেষ কবে বাংলাদেশ ১০০ রানের কমে এভাবে আউট হয়েছে? ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনীতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়কই জানালেন, তিনি মনে করতে পারছেন না, কবে এত কম রান করেছে বাংলাদেশ।

মুশফিক বলেন, 'আমি মনে করতে পারছি না, সর্বশেষ করে আমরা ১০০'র নিচে অলআউট হয়েছি। এটা সত্যি আমাদের জন্য খুবই হতশার।'

টেস্টে বাংলাদেশ ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে মোটে ৯বার। ৯০ রানে অলআউট হওয়াটা বাংলাদেশের যৌথভাবে ৫ম সর্বনিম্ন। ৯০ রানে এর আগেও একবার অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এছাড়া ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বনিম্ন ৬২ রানে, ২০০৫ সালে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৬ রানে, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে, ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ রানে, ২০০০ সালে ভারতের কাছে ৯১ রানে, ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৬ এবং ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।

পরের ম্যাচে বাংলাদেশ আরও ভালো পরিকল্পনা করে আর শক্তিশালী হয়ে খেলতে নামবে বলে জানান মুশফিক। তিনি বলেন, 'আমরা আগামী ম্যাচে আরও সুন্দর পরিকল্পনা করেই মাঠে নামবো।'

মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ এবং মোস্তাফিজের প্রশংসা করে মুশফিক বলেন, 'মুমিনুল আর মাহমুদউল্লাহ ছিলেন খুবই ইতিবাচক। আবার বল হাতে মুমিনুল আর মোস্তাফিজ ভালো বল করেছে, বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে। আমাদের প্রয়োজন এখন মানসিকভাবে শক্ত থাকা এবং এটাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি দরকার।'

ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে বাংলাদেশ দলটি কেমন সেটা এই টেস্টেই বোঝা গেলো। এ কারণে, এখনই পরিকল্পনা নেয়া উচিৎ, ভবিষ্যতের জন্য। এসব দেশে বাংলাদেশ থেকে 'এ' দল কিংবা এইচপি ইউনিটকে আরও বেশি বেশি সফরে পাঠানো উচিৎ, যেখানে থাকবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দেরও অংশগ্রহণ।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন