লিটনের উইকেটকিপিংয়ে মুগ্ধ বাভুমা
বাংলাদেশ দলে তার জায়গাটা মিউজিক্যাল চেয়ারের মত। এই আসছেন, তো এই বাদ পড়ছেন। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করলে লিটন দাসের দলে জায়গা পাওয়াটা কঠিনই। তবে যতবারই সুযোগ পেয়েছেন উইকেটের পেছনে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি।
উইকেটরক্ষণও একটা শিল্প। বিশেষ করে টেস্টের মত গুরুত্বপূর্ণ ফরমেটে এই শিল্পের ব্যবহারটা একটু বেশি। কারণ এই ফরমেটে বলে-কয়ে সুযোগ আসে না। সুযোগগুলো আসে হঠাৎ করে। ফিল্ডারদের তাই সজাগ থাকতে হয়। সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয় উইকেটরক্ষককে।
লিটন দাস এই জায়গাটায় সবসময়ই ফুল মার্ক পেয়ে থাকেন। যতবারই সুযোগ পেয়েছেন, উইকেটের পেছনে তার ক্ষিপ্রতা দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি টেস্টে তো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের কাছ থেকেও প্রশংসা পেলেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।
পাবেনই বা না কেন? দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে টেম্বা বাভুমা আর কুইন্টন ডি কককে যেভাবে আউট করেছেন, নজর কেড়েছে সবার। বিশেষ করে বাভুমার ক্যাচটি ছিল এক কথায় অসাধারণ।
মুমিনুল হকের বলে প্যাডল সুইপ খেলতে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। বুঝতে পেরে আগেভাগেই বাঁদিকে সরে যান লিটন। বাভুমার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বলটা অবিশ্বাসভাবে জমিয়ে নেন গ্লাভসে।
লিটনের এই ক্যাচটি আলাদা করে নজর কেড়েছে বাভুমার। এমন শট খেলে এর আগে অনেক রান করেছেন, এবার এভাবে ধরা পড়বেন ভাবতেও পারেননি এই ব্যাটসম্যান, 'এভাবে কখনও আউট হইনি। আমি এমন একটা শট খেলেছি, যেটা প্রচুর খেলি। আমি মনে করি, কিপার ক্যাচটা নিতে বিশেষ কিছু করেছে।'
শুধু নিজের আউট নয়, কুইন্টন ডি কককে লিটন যেভাবে স্ট্যাম্পিং করেছেন, সেটার জন্যও বাড়তি দক্ষতার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বাভুমা।
বাংলাদেশ উইকেটরক্ষককে নিয়ে তিনি বলেছেন, 'গ্লাভস হাতে ওর ম্যাচটা দারুণ কেটেছে। এমন একটা উইকেটে চমৎকার কিপিং করেছে, যেখানে স্পিনে বাউন্স অসমান। ও খুব ভালোভাবে সামলেছে এই টেস্ট।'
যাকে নিয়ে এত কথা, সেই লিটন অবশ্য নিজের পারফম্যান্স নিয়ে অতি-উচ্ছ্বসিত নন। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একবার বাভুমার মত করে এক ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন সেটা মনে করিয়ে দিলেন তিনি, 'শ্রীলঙ্কায় গল টেস্টে নিরোশান ডিকভেলার একটা ক্যাচ নিয়েছিলাম এভাবে। কিপিংটা আমি সবসময় উপভোগ করি। কখনো মিস হয়ে যায়, কখনো ভালো কিছু হয়। এর ভেতরেই শেষ। এটা খেলার অংশ। ধরতে পারলে ভালো লাগে।'
এমএমআর/জেআইএম