লিটনের মতে ড্রয়ের চিন্তাই বাস্তবসম্মত
পচেফস্ট্রম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতেই এখন সব ক্ষমতা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের শেষ দিনে চাই ৩৭৫ রান। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর পঞ্চম দিনে এই রান করার স্বপ্ন দেখা এখন অনেকটা 'মই বেয়ে চাঁদে উঠে পড়া'র মতই। টাইগারদের তাই লক্ষ্যটা হওয়া উচিত উইকেটে সারাদিন কাটিয়ে ড্রয়ের চেষ্টা করা।
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা লিটন দাসও এই লক্ষ্যটাকেই বাস্তবসম্মত মনে করছেন। ম্যাচ বাঁচানোর জন্য দল সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবে, জানিয়েছেন তিনি, 'পঞ্চম দিনে আসলে তিনশ-সাড়ে তিনশ রান তাড়া করে জেতা যায় না। আমাদের তিন উইকেটও চলে গেছে। চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে। এখনো ব্যাকফুটে যাইনি আমরা। কালকে যদি ভালো দুই একটা জুটি হয় হয়তো কিছু হতে পারে।'
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে একেবারে দুঃস্বপ্নের মত। দলের খাতায় কোনো রান না উঠতেই ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক। ইমরুল কায়েস আর মুশফিকুর রহিম ৪৯ রানের জুটিতে প্রাথমিক সে বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু দারুণ খেলতে থাকা কায়েসও শেষপর্যন্ত ফিরেছেন ৩২ রান করে।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন। বাংলাদেশের জন্য বিষয়টা অবশ্যই দুশ্চিন্তার। তবে লিটন দাস এটাকে স্বাভাবিক ব্যাপারই মনে করছেন।
টাইগার দলের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, 'ওরা ইনিংস ঘোষণার সময় আকাশে একটু মেঘ ছিল। এ ধরনের কন্ডিশন বল শুরুতে একটু মুভমেন্ট করে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক খেলা। উইকেট পড়তেই পারে। সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না।'
স্বীকৃত তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন, এটা যতটা হতাশার। তার চেয়ে বেশি হতাশা মুমিনুল হকের আউটটা নিয়ে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান হয়েছেন ভুল এলবিডব্লিউয়ের শিকার। রিভিউ নেয়ার সুযোগ থাকলেও মাঠে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের কেউই আউটটাকে ভুল মনে করেননি।
লিটনও আফসোস করছেন এই আউটটা নিয়ে। তিনি মনে করছেন, সে সময় মুমিনুল শুন্য রানে না ফিরলে বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকতো। ম্যাচ বাঁচানোর আশাটাও আরও বাড়ত টাইগারদের।
উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের ভাষায়, 'আফসোস তো একটু আছেই। পরে দেখে মনে হয়েছে রিভিউ নিলে ভালো হতো আমাদের জন্য। (লেগ স্টাম্প) মিসিং ছিল। উইকেটটা ছিলই না।'
এমএমআর/জেআইএম