বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু, মুমিনুলের জোড়া আঘাত
বাংলাদেশের জন্য মুমিনুলই এখন যেন সবচেয়ে বড় ত্রাতা। যে দ্রুত গতিতে রান তুলছিল দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা, তাতে বাধ দেয়ার বড্ড প্রয়োজন ছিল। সে কাজটা অকেশনাল বোলার মুমিনুলই যেন করে দিলেন। বৃষ্টি শুরুর ঠিক আগে ফিরিয়েছিলেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে। বৃষ্টির পর ফেরালেন আরেক বিপজ্জনক টেম্বা ভাবুমা এবং বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককে। টেম্বা ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে এবং ডি কক আউট হন তার বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫৩.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে তারা এখন ৪০২ রানে। উইকেটে রয়েছেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো এবং কেশব মাহারাজা।
দ্রুত রান তোলার লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে যাচ্ছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে দেখা যাচ্ছে, চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই তারা তুলে ফেলেছে ১৪৯ রান। ২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনে একমাত্র সফল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। হাশিম আমলার উইকেটটি তুলে নেন তিনি।
৩ উইকেটে ২০৩ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ততক্ষণে তাদের লিড দাঁড়িয়ে যায় ৩৭৯ রান। উইকেটে ছিলেন টেম্বা ভাবুমা এবং অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। বোঝাই যাচ্ছিল, দ্বিতীয় সেশনে আরও দ্রুত গতিতে রান তুলে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে চায় তারা।
তবে লাঞ্চের পরপরই আনকোরা বোলার মুমিনুল হকের এলবিডব্লিউর শিকার হন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস। দলীয় ২১২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৮১ রানে মুমিনুলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডু প্লেসিস।
ডু প্লেসিস আউট হওয়ার পর মাত্র এক ওভারের খেলা হয়। এরপরই নামে বৃষ্টি। আম্পায়াররা সঙ্গে সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেন এবং ত্রিপল দিয়ে উইকেট ঢেকে দেয়ার নির্দেশ দেন।
আইএইচএস/আইআই