ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এবার আর ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা নয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সামনে এখনও দক্ষিণ আফ্রিকা বিশাল এক ধাঁ ধাঁর নাম। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মত দলকে টেস্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ, প্রতিটি দলের বিপক্ষেই জয় না হোক, ভালো খেলার সন্তুষ্ঠি আছে বাংলাদেশের; কিন্তু এই একটি দেশের বিপক্ষেই কেবল সন্তুষ্ট হওয়ার মত কোনো পারফরম্যান্স নেই।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার অর্থই যেন ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় একেবারে অবধারিত। প্রোটিয়াদের মাটিতে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে মোট চারটি। ঘরের মাঠে ৬টি। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে খেলা চারটি টেস্টেই ইনিংস পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করারই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। কিংবা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে হয়নি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের।

এবারই প্রথম ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট করতে নামতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কারণ, প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটে ৪৯৬ রানে ইনিংস ঘোষণার পর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করেছে ৩২০ রান। ফলো অনের শঙ্কা কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়েছে আরও খানিকটা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে যে কোনো ইনিংসে ৩০০ প্লাস রানের ইনিংস এটাই প্রথম। প্রোটিয়াদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৭৬ রান।

নিজেদের মাটিতে যে ৬টি টেস্ট প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ, এর মধ্যে তিনটিতেই পরাজয় ইনিংস ব্যাবধানে। দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেনি। কারণ, বৃষ্টির কারণে ২০১৫ সালের ওই দুটা টেস্ট শেষই হতে পারেনি। নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে সিরিজ।

এছাড়া বলার মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিছুটা ভালো খেলা ছিল ২০০৮ সালে ঢাকার মাঠে। সেবার প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯২ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকাও অলআউট হয়ে গিয়েছিল ১৭০ রানে। প্রথমবারেরমত লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ১৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫২ রান। ৫ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গ্রায়েম স্মিথের দল। এই একটি ম্যাচেই কেবল দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাতে পেরেছে বাংলাদেশ।

প্রোটিয়াদের মাটিতে সর্ব প্রথম ২০০২ সালে খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ইস্ট লন্ডনে প্রথম মুখোমুখি। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ব্যাট করে তোলে ৫২৯ রান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট ১৭০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিল ২৫২ রান। প্রোটিয়াদের মাটিতে আজকের আগ পর্যন্ত ওটাই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। বাংলাদেশে হেরেছিল ইনিংস ও ১০৭ রানের ব্যবধানে।

এরপর পচেফস্ট্রমে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২১৫ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১০৭ রান। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশের পরাজয় ইনিংস ও ১৬০ রানে।

২০০৮ সালে আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ওই সফরের প্রথম টেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ব্লুমফন্টেইনে। দক্ষিণ আফিকার ৪৪১ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৫৩ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ১৫৯ রানে। পরাজয় বরণ করেছিল এক ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে।

দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেঞ্চুরিয়নে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৫০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪২৯ রান। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৩১ রানে। প্রোটিয়ারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে ইনিংস ও ৪৮ রানের ব্যবধানে।

এছাড়া বাংলাদেশে ২০০৩ সালে সফরে এসে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৬০ রান এবং দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১৮ রানে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ২০০৮ সালে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেটে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্টে জিতেছিল ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে।

আইএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন