ওপেন করতে নেমেই ইমরুলের ফিফটি
নিজের ব্যাটে সর্বশেষ কবে রান দেখেছিলেন, সেটা হয়তো ইমরুল কায়েস ভুলেই গিয়েছেন। খুঁজে-টুজে পাওয়া গেলো, সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে নেলসনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেটা ওয়ানডেতে। টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন গত বছর অক্টোবরে, ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে খেলেছিলেন ৬৭ রানের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬১ রানের ইনিংস।
এরপর থেকে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে ইমরুল কায়েসের সর্বোচ্চ রান হচ্ছে ১৯। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টেই খেলেছিলেন তিনি। দুই টেস্টের চার ইনিংসে ২১ রান করেছিলেন তিনি। তুমুল সমালোচনার মুখেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে ইমরুলকে নেয়া হয়েছে কেবলই অভিজ্ঞতার জন্য।
তবে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খুব বেশি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মাত্র ৩৪ রান করেছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ছিলেন ওপেনার। চোটের কারণে ব্যাট করতে নামতে পারেননি তামিম। সৌম্যও চোট পেয়েছেন। এ কারণে লিটনকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করেন ইমরুল কায়েসই।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারকে সুযোগ করে দিতে ইমরুলকে নামানো হয় তিন নম্বরে। এই স্থানটিতে যে তিনি একেবারেই পারফেক্ট নয়, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে যেই না তাকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হলো, তখনই হাফ সেঞ্চুরি করে ইমরুল প্রমাণ দিলেন, তিনি ওপেনিংয়েই সেরা। এই জায়গাতেই তিনি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৩০৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়া দলটিও। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ রান করে লিটন কুমার আউট হয়ে গেলেও ইমরুল-মুমিনুল মিলে হাল ধরেন। ৭১ রানের জুটি গড়ার পর ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যান। ৫৪ বল খেলে ৫১ রান করেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১ ছক্কা মারেন ইমরুল।
৩৩ রান করেন মুমিনুল হক। ৩৮ বল খেলে তিনি ইমরুলের পরপরই আউট হয়ে যান। মুশফিক উইকেটে নেমে দাঁড়াতেই পারেননি। মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান তিনি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় উইকেটে রয়েছেন সাব্বির রহমান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেট হারিয়ে ১১০। লিড, ১০৩ রানের।
আইএইচএস/জেআইএম