‘এই রুবেল সেই রুবেল নয়’
রুবেল হোসেনের দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে না পারার খবর আসার পর থেকেই শুরু হয় নানান গুঞ্জন। কেউ বলছেন, রুবেল হোসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্ল্যাক লিস্টেড (কালো তালিকাভুক্ত), আবার কেউ বলছেন চিত্র নায়িকা হ্যাপির করা সেই মামলার রেশ ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারেননি তিনি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান দু’দিন আগে বলেছিলেন, ‘অন্য কিছু নয়, জন্ম তারিখ নিয়ে সমস্যার কারণেই ভিসা জটিলতা তৈরি হয়েছে রুবেলের। সে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারেনি সে।’
তবে আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বসে সাংবাদিকদের পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সাংবাদিকদের তিনি রুবেল ইস্যুতে বলেন, ‘রুবেলের সাথে আরেকজনের নাম এবং ছবি মিলে যায়। যে দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যিই কালো তালিকাভুক্ত। সেই ভিন্ন ব্যক্তিটির ছবি এবং নাম সবকিছু আমাদের কাছে চলে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই রুবেলের সঙ্গে সেই রুবেলের সব কিছু মিলে যায়। এমনকি জন্ম তারিখও। কিন্তু মানুষটা ভিন্ন। ওরা যাকে নিষিদ্ধ করেছে, সে আমাদের এই রুবেল না। এটাই এখন প্রমাণ করার সময় এসেছে।’
তবে আজকের মধ্যে একটা ফলাফল পাবার আশা করছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যি ওর নাম এবং ডেট অব বার্থসহ অন্য একজন আছে। তার ছবিসহ ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের কাছে। ওই ব্যক্তির নামে নিষেধাজ্ঞা আছে। চেহারা কিছুটা ভিন্ন। ওটাই আমরা এখন তাদেরকে বলেছি। যাই হোক, একটা ফলাফল আজকের মধ্যেই আশা করছি। তারা সেটাই আমাদের বলেছে।’
রুবেলের ইমিগ্রেশন সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও পাপন জানান। তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে ভিসা জটিলতার কারণে সে যেতে পারছে না। আমার দক্ষিণ আফ্রিকায় বার বার যোগাযোগ করছি। ওরাও তাদের হোম মিনিস্ট্রিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছে। আজকের মধ্যেই এটার একটা ফলাফল আসার কথা। কেন যেতে পারল না, সে সব তথ্য নিয়ে আমরা এখানে বসেছিলাম, জানতে পারলাম।’
উল্লেখ্য, পূর্ণাঙ্গ সফরে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছে বাংলাদেশ দল। সন্ধ্যার ফ্লাইটে মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে ছিলেন রুবেল হোসেনও। দলের সঙ্গে বিমান বন্দরেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে রুবেল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পাননি তিনি। ফলে দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা যেতে পারেননি এই পেসার।
এমএএন/আইএইচএস/পিআর