ঘরের মাঠে পাকিস্তানের অনেকের আজ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ
দেখতে দেখতে কেটে গেল সাড়ে আটটি বছর। ২০০৯ সালের মার্চে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলা চালায় উগ্র জঙ্গিরা। উগ্রপন্থীদের বন্দুকের গুলি আর গ্রেনেডের আঘাতে যেন পাকিস্তান থেকেই উড়ে যায় ক্রিকেট। যে খেলাটি পুরো দেশকে এক সুতোয় আবদ্ধ করে ফেলতে পারতো। যে খেলাটি যুদ্ধ পর্যন্ত থামিয়ে দিতে পেরেছিল, সেটিই কি না পরাজিত হলো উগ্র জঙ্গিদের সন্ত্রাসের কারণে।
সেই ঘটনার পর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করেছে, নানা ছলে-বলে কৌশলে নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে। কোনোভাবেই তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। মাঝে বাংলাদেশসহ অনেকগুলো দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা; কিন্তু সে আহ্বানে সাড়া মেলেনি। আফগানিস্তান আর জিম্বাবুয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে সংক্ষিপ্ত সফর করে এসেছিল পাকিস্তানে। যদিও সে সফরগুলোকে আইসিসি অনুমোদন দেয়নি। ম্যাচ অফিসিয়াল পাঠায়নি।
শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ চেষ্টার পর সফলতার দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। মূলত ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ) দিয়েই এই সফলতার সূচনা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত পিএসএলের ফাইনালটি নানা বাধা আর হুমকির মুখেও লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান।
আর আজ (মঙ্গলবার) সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হতে যাচ্ছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, হাসান আলি, সাদাব খান, রুমান রয়িস, ফাখার জামান, উসমান খান সিনওয়ারি, মোহমদ নওয়াজ, ফাহ্ম আশরাফ, আমির ইয়ামিন ও উমার ইয়ামিন।
এছাড়াও কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে অবস্থান করা মোহম্মদ আমির যদি তিন ম্যাচের কোনো ম্যাচে নামেন তবে তারও ঘরের মাঠে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হবে।
এমএএন/এআরএস/জেআইএম