দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
আগে থেকেই মোটামুটি জানা হয়ে গিয়েছিল, কারা কারা থাকছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে। যদিও চিঠি দিয়ে আগামী ছয় মাস টেস্ট খেলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট দলে তাকে রাখা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের দলে না থাকলেও, সাকিব খেলছেন না বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আবারও ফেরানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলে।
পেস কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে পাঁচ পেসার নিয়েই ঘোষণা করা হলো ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ টেস্ট দল। আজ বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল, মোস্তাফিজ, তাসকিন, শফিউলের সঙ্গে পেস ক্যাটাগরিতে দলে ঢুকতে পারেন রুবেল হোসেন এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি। তবে রাব্বি নন, ফেরানো হয়েছে শুভাশিস রায়কে।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে নাসির হোসেনকে। ঘরের মাঠে দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফিরলেও খুব বেশি নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি নাসির। বিসিবি সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, টপ অর্ডারে যেহেতু বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্য বেশি, এ কারণে একজন ডান হাতি ব্যাটসম্যান বাড়ানো হতে পারে। সে হিসেবে তিনি এনামুল হক বিজয়ের কথাও কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। তবে চূড়ান্ত দলে ঠাঁই মেলেনি এক সময়ের এই ওপেনারের।
তামিম ইকবালের সঙ্গে সৌম্য সরকারকেই হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা যাবে ইনিংস ওপেন করতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে সবাইকে হতাশ করলেও অভিজ্ঞতার বিচারে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দলে থেকে গেলেন ইমরুল কায়েস। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজের দলে শুরুতে নেয়া হয়নি মুমিনুল হককে। পরে মোসাদ্দেকের পরিবর্তে তাকে নেয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলেও থাকছেন মুমিনুল। দলে থাকছেন সাব্বির রহমান রুম্মনও।
সাকিব না থাকায় মিডল অর্ডারে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতেই মূলত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে নেয়া। এছাড়া ফাস্ট ট্র্যাকে রিয়াদের ব্যাটিং রেকর্ডও ভালো। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এ কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট ট্র্যাকের জন্য তাকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।
যথারীতি মুশফিকুর রহীমই অধিনায়ক। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর যে গুঞ্জন তাকে নিয়ে উঠেছিল, আপাতত তার সমাধান হয়ে গেছে। তবে তিনি উইকেটকিপিং করবেন কী করবেন না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, তার সঙ্গে অতিরিক্ত উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে নেয়া হয়েছে লিটন দাসকে। যদিও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের দলেও ছিলেন লিটন।
আগে থেকে দল গঠন প্রক্রিয়ায় জানা গিয়েছিল একজন স্পিনার নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সে প্রক্রিয়ায় নিশ্চিতভাবেই ছিল সাকিব আল হাসানের নাম। অলরাউন্ডার হিসেবেই তিনি বিবেচিত। স্পেশালিস্ট স্পিনার থাকার কথা শুধুমাত্র মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে হঠাৎ সাকিব বিশ্রাম চাওয়ার কারণে একজন অতিরিক্ত স্পিনার নিতে হয়েছে এই সফরে। অথ্যাৎ, তাইজুল ইসলামের এই দলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে রাখা হলো ১৫ জনের দলে।
১৫ সদস্যের বাংলাদেশ টেস্ট দল
মুশফিকুর রহীম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান রুম্মন, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও শুভাশিস রায়।
এমএএন/আইএইচএস/আইআই