ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবেন সাকিব!
সাকিব আল হাসান টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্য স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকতে চান। এই সময়ের মধ্যে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেললেও তিনি টেস্ট না খেলার কথা ভাবছেন। সে ইচ্ছে প্রকাশ করে বোর্ডের কাছে ছয় মাসের ছুটির আবেদনও করতে যাচ্ছেন। তিনি বোর্ডে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানাবেন, বোর্ড তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে উদ্ধৃত করে রোববার সন্ধ্যায় এমন খবর চাওর হলে গেলেও তাতে সাকিব যে কালই বোর্ডে চিঠি দিয়েছেন, সে খবরটা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। আকরাম ও নান্নু দুইজনই বলেছেন, আমরা এখনো বিষয়টা আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। তাই কিছু বলতেও পারছি না।
তবে জাগো নিউজের পাঠকরা রোববার রাতেই জেনে গেছেন সাকিব বোর্ডে চিঠি দিয়ে আগামী ছয় মাস টেস্ট থেকে বিশ্রাম চেয়েছেন। শুধু সেটাই নয়, বোর্ড তার ছুটির আংশিক আবেদন মঞ্জুর করতে যাচ্ছেন, তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বিশ্রামে থাকার অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে, এমন তথ্য এরই মধ্যে জানা জাগো নিউজ পাঠকদের।
সর্বশেষ খবর হল, সাকিবের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বেলা তিনটায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি অফিসে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই ঠিক করা হবে, সাকিবকে বোর্ড আদৌ ছুটি দেবে কি না? দিলেও কত দিনের জন্য দিবে।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি চেয়ারম্যান আকরাম খান জাগো নিউজকে এ তথ্য দিয়ে বলেন, আমরা বসে বিষয়টা চূড়ান্ত করবো। তবে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের এক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, বোর্ড এরই মধ্যে ভেতরে ভেতরে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। আজ তা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আকারে আসবে। তা হলো আগামী ছয় মাস পুরো বিশ্রামে থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছাড়াও আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজও মিস করবেন সাকিব। তাই বোর্ড তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বিশ্রামে থাকার অনুমতি দিলেও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বলা হবে।
সাকিব একা নন, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই বিসিবির বার্ষিক বেতন কাঠামোর আওতায় আছেন। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা ম্যাচ ফি, জয় ও ড্রয়ের জন্য পৃথক বোনাসও আছে। এর বাইরে মাসে মোটা অংকের বেতন। এ রকম চুক্তির মধ্যে থাকা ক্রিকেটাররা কী ইচ্ছেমত ছুটির আবেদন করতে পারেন?
রোববার রাত থেকে এ প্রশ্ন ক্রিকেট অনুরাগীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তিপত্রে এমন কোন কথা লেখা নেই যে, কেউ ছুটি চাইলে বা বিশ্রাম নিতে চাইলে তা মঞ্জুর করা হবে না। তাই যদি সত্য হয়, তাহলে সাকিব কী ছয় মাসের বিশ্রামের আবেদন করে তিন মাস পর আবার খেলতে রাজি হবেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের এক শীর্ষকর্তার জবাব, ‘সেটা পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতেই পারে। আমরা সাকিবের আংশিক আবেদন মঞ্জুর করলে সাকিবও বাকি ছুটির আবেদন থেকে সড়ে আসতে পারে।’
এআরবি/এমআর/আরআইপি