ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চট্টগ্রামে টেস্টেই সাড়ে চার কেজি ওজন কমেছে হ্যান্ডসকম্বের!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনই দেখা গিয়েছিল প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্ব। খেলা থামিয়েই তাকে পরিচর্যায় মেতে ওঠেন দলীয় ডাক্তার এবং সতীর্থরা। শেষ পর্যন্ত সেই হ্যান্ডসকম্ব দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। তৃতীয় দিন দুপুরের পর ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানে রানআউট হওয়ার আগে দলকে একটা স্থিতিশীল অবস্থায় রেখে যেতে সক্ষম হন।

তবে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৮৫ মিনিট (প্রায় ৩ ঘণ্টা) ব্যাট করেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। এই ৩ ঘণ্টা ব্যাট করে নাকি রাতারাতি সাড়ে চার কেজি ওজন কমে গেছে অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যানের। খেলার মাঠে এমন নজির আর আছে কি না সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব হলো না।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হলো আজ। এর আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১১৩ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হ্যান্ডসকম্ব। দ্বিতীয় দিনের খেলার পরই নাকি ধরা পড়ে, হ্যান্ডসকম্বের ওজন কমে যাওয়ার ঘটনা। এই অবস্থায় আজ (বুধবার) তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানে রান আউট হন তিনি।

বাংলাদেশের টার্নিং উইকেট আর ঘূর্ণি স্পিনের সঙ্গে প্রচণ্ড গরমও যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের জন্য প্রতিপক্ষ- সেটা বোঝা গেলো পিটার হ্যান্ডসকম্বের এই ঘটনায়। তবুও কোচ ড্যারেন লেহম্যান হ্যান্ডসকম্বের ইনিংসকে বর্ণনা করলেন, দারুণ সাহসী হিসেবে।

আগেরদিনই হ্যান্ডসকম্বকে দেখা যাচ্ছিল বারবার পানি এনে খেতে। তার কারণে অনেকবারই পানি পানের বিরতি দিতে হয়। এমনকি হ্যান্ডসকম্ব যখন ৬৪ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন তাকে দেখা গিয়েছিল উইকেটের ওপর বসে পড়তে। পানি-টানি দিয়ে কোনোমতে তাকে আবার সুস্থ করে তোলা হয়।

একই পরিস্থিতি আজও দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের বোলার মেহেদী হাসান মিরাজের ক্ষেত্রেও। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাঠে বসে পড়েছিলেন তিনি। দ্রুত চিকিৎসকরা এসে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তাকে আবার সুস্থ করে তোলা হয়। তবে মিরাজের ওজন কমে গিয়েছে কি না সেটা এখনও জানা যায়নি।

তবে রোদের প্রখর তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় প্রচণ্ড গরম সহ্যের সীমার বাইরে চলে গেছে চট্টগ্রামে। যে কারণে ক্রিকেটাররা বারবার হিট স্ট্রোকের মুখোমুখি হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেও খেলে যেতে হচ্ছে তাদেরকে।

আইএইচএস/এমএস

আরও পড়ুন