ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

একাদশে ফিরলেন মুমিনুল, পেসার একজন

আরিফুর রহমান বাবু | চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সাধারণত উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন হয় কম। কেউ ইনজুরির শিকার না হলে আগের ম্যাচ জেতা দলের কাউকে বাদ দেয়া হয় কালে ভদ্রে। বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বারবার উইনিং কম্বিনেশন না ভাঙার কথা বললেও দ্বিতীয় টেস্টে একটি পরিবর্তন হয়ে। পেসার শফিউলের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন মুমিনুল হক।

গতকাল (রোববার) জাগো নিউজের পাঠকদের জানানো হয়েছিল মুমিনুল একাদশে ফিরতে পারেন। কক্সবাজারের এ মেধাবী উইলোবাজের দলে ফেরার পেছনে ‘ওপেনার সৌম্যর’ ব্যর্থতা আর তিন নম্বরে খেলতে নামা ইমরুল কায়েসের অনুজ্জ্বলতাকেই বড় কারণ বলে ভাবা হয়েছিল। অনেকেই বলেছেন সৌম্য আর ইমরুলের যে কারও জায়গায় ঢুকবেন মুমিনুল। তবে মুমিনুল একাদশে ডাক পেয়েছেন পেসার শফিউলের জায়গায়।

তার মানে ঢাকায় ভীষণ অকার্যকর পেস ডিপার্টমেন্ট আরও ছোট করে এবং তার শক্তি কমিয়ে আরও একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর প্রথম টেস্টে চরম ব্যর্থতার পরও দলে থাকছেন সৌম্য-ইমরুল। তাদের ওপর এখনও আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন কোচ হাথুরুসিংহে।তামিমের সঙ্গে সৌম্যই হয়তো ইনিংসের সূচনা করবেন। ইসরুল তিন নম্বরেই ব্যাট করবেন। আর মুমিনুল হয়তো তার মূল জায়গা চার নম্বরে ব্যাট করবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না টেস্টে চার নম্বরে মমিনুল বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান।

এই পজিসনে ৯ টেস্টে তিন শতক ও পাঁচ অর্ধশতকসহ মুমিনুলের সংগ্রহ ৮৭৭ রান। গড়ও সবার চেয়ে বেশি ৬২.৬৪। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটিও (১৮১ চার নম্বরেই)। ভালো পারফরম করতে না পারা সৌম্য ও ইমরুল কায়েসের কারও একজনের জায়গায় নন, একজন পেসারের বদলে মুমিনুলকে খেলানো কেন?

এমন প্রশ্নও উকি ঝুঁকি দিচ্ছে। এর জবাব প্রধান নির্বাচক দেননি। তবে ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মুমিনুলের পয়োমন্তঃ ভেন্যু। তার টেস্ট ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরির তিনটিই চট্টগ্রামে। এই মাঠে মুমিনুলের শেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটা (১৩১) ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। তার ক্যারিয়ার সেরা ১৮১ রানের ইনিংসটি এই মাঠেই। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ইনিংস সাজিয়েছিলেন ইমরুল।

এছাড়া বাংলাদেশ যে গত মাসে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে এসেছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, সেই ওয়ার্মআপ ম্যাচেও সর্বাধিক ৭২ রান করেছিলেন মুমিনুল। কাজেই এই মাঠে তার আগের ভালো খেলাকেই অবশেষে বিবেচনায় এনেছেন নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।

দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান রুম্মন, নাসির হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এআরবি/এমআর/জেআইএম

আরও পড়ুন