‘তুমি পাঁচ উইকেট পেলেই হয়ে যাবে’
ঢাকা টেস্ট আমরা কার জন্য জিতেছি? এমন প্রশ্ন যদি কাউকে করা হয়, তবে একবাক্যে সে উত্তর দিয়ে দেবে, কেন সাকিব আল হাসান! দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংটা বাদ দিলে, পুরো ম্যাচটাই তো ছিল সাকিবের। রান পেয়ছেন, উইকেট নিয়েছেন। জুনিয়ার বোলারদের বল করিয়ে উইকেটে তুলে নিয়েছেন।
আসাধারণ প্রতিভা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি ম্যাচজুড়ে। যা একবাক্যে স্বীকার করেছে অস্ট্রেলিয়ানরাও।
তবে সাকিব জানালেন তার এমন অসাধারণ খেলার পেছনে সবচেয়ে বড় রহস্যের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন নাকি তার স্ত্রী শিশির। নিয়মিত তাকে শিশির অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আগেরদিন রাতে শিশিরের সঙ্গে কথা হওয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি প্রেজেন্টেশনেও বলেছি, রাতে যখন তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন বলেছি- মনে হয়েছে চান্স খুব একটা নেই। ও বলেছে, তুমি পারবা। আমি জানি, তুমি পাঁচ উইকেট পেলেই হয়ে যাবে।’
শিশিরের এমন মন্তব্যে কিভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন সাকিব? সেটাও জানিয়েছেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমানোর সময় চিন্তা করলাম, আসলেই তো। আমি পাঁচ উইকেট পেলেই তো দলের সুযোগ থাকবে। ওপাশ থেকে আরেকজন দুই উইকেট নিলেই তো সাত-আট উইকেট পড়ে যাবে। এই বিশ্বাসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ ম্যাচ জয়ের পর পরই সাকিবকে ক্ষুদে বার্তা দিয়েও শুভেচ্ছা জানিয়েছন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘সবচেয়ে বড় মোটিভেশন আমার বউ। সে সব সময় উৎসাহ দেয়। এখন মেসেজ করল, আমি এখন ঘুমাতে পারি।’
বউয়ের পাশাপাশি জয়ের জন্য অন্যতম মোটিভেশন হিসেবে মাঠে আসা দর্শকদের কথাও বলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তিনি মনে করেন, ‘আজ যারা মাঠে এসেছে, সবাই বিশ্বাস করেছে বাংলাদেশ জিতবে। তাদের সেই বিশ্বাস থাকলে আমাদের কেন থাকবে না? আমরা হয়তো ছয়, সাত বা পাঁচ উইকেটে হারতে পারতাম; কিন্তু আমাদের চেষ্টা বড় ব্যাপার ছিল। সেটা করতে পেরেছি- এটাই এখন বড়। দলের মানসিকতায়ও যে পরিবর্তন এসেছে এটা তারই বড় উদাহরণ।’
এই ম্যাচ থেকে ব্যক্তি সাকিবের কোন পরিবর্তন হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না; কিন্তু চেষ্টা তো থাকেই উন্নতি করার। দলের জন্য চেষ্টা করার, ভালো কিছু করার। যখন করতে পারি, ভালো লাগে।’
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম