তৃতীয় দিন শেষে দুশ্চিন্তার নাম স্মিথ-ওয়ার্নার
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের দারুণ এক সুযোগ। স্পিনাররা প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে যেভাবে চেপে ধরেছিল, দ্বিতীয় ইনিংসেও যদি সেভাবে চেপে ধরা যায়- তাহলে জয়টা নিশ্চিতই বলা যায়। ২৮ রানের মধ্যে ম্যাট রেনশ এবং উসমান খাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে সে সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে আর বিপর্যয়ে পড়তে দিলেন না। বাংলাদেশের স্পিনারদের সব চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে আজ শেষ বিকেলেই অস্ট্রেলিয়াকে বসিয়ে দিলেন চালকের আসনে। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হলো তাই ২ উইকেটে ১০৯ রানে। ওভার খেলেছে তারা ৩০টি।
৭৫ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২৫ রানে রয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। ওয়ার্নার যেন ওয়ানডে স্টাইলে খেলছেন। ৭৫ রান তুলতে ৯৬ বল খেলেছেন তিনি। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মারও মেরেছেন তিনি। স্মিথ খেলেছেন ৫৮ বল। তার ইনিংসে বাউন্ডারির মার কেবল ১টি।
অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য করতে হবে আর মাত্র ১৫৬ রান। হাতে রয়েছে আরও ৮ উইকেট। তবে উইকেট কতটি রয়েছে সেটা বড় কথা নয়, টেস্টের চতুর্থ দিন বুধবার সকালে যদি ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথের ব্যাট আরও চওড়া হয়, তাহলে ম্যাচের পরিণতি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই যাবে এটা নিশ্চিত। আর সকাল সকাল যদি ওয়ার্নার এবং স্মিথের উইকেট তুলে নিতে পারেন মিরাজ-সাকিবরা, তাহলে জয়ের সম্ভাবনা খানিকটা হয়তো থাকবে বাংলাদেশের পক্ষে। সুতরাং তৃতীয় দিন শেষে বলাই যায়, বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা কেবল ওয়ার্নার আর স্মিথই।
জিততে হলে করতে হবে ২৬৫ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনেই খেলছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ম্যাট রেনশ। দুজন মিলে দলের স্কোরকার্ডে যোগ করেন ২৭ রান। এরপর পা ফসকে গেছে রেনশর। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৫ রানে।
মিরাজের পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উসমান খাজাকে তাইজুল ইসলামের হাতে তালুবন্দি করান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অসি টপ অর্ডারের এই ব্যাটসম্যান।
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের জোড়া ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৬০ রান। জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করতে সক্ষম হয় ২১৭ রান। ৪৩ রান এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ২২১ রানে। সব মিলে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় মুশফিকুর রহীমের দল।
আইএইচএস/এমএস