সাকিবের বিশ্বাস : মিরাজ আউট ছিলেন না
ঢাকা টেস্টের শুরুতেই টস জিতে হাসি ফুটেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের মুখে। তবে সে হাসি খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রায় উবে যায়। অসি পেসার প্যাট কামিন্সের আগুনে বোলিংয়ে প্রথম চার ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান সাজঘরে। এর মধ্যে আবার দুই ব্যাটসম্যান (ইমরুল ও সাব্বির) ফেরে শূন্য রানে। সেখান থেকেই দলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম এবং সাকিব। তারা দু’জন মিলে করেন ১৫৫ রানের জুটি।
এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান। তুলে নেন তামিমের উইকেট। এরপর আর খুব বেশি কেউ দাঁড়াতে পারেনি উইকেটে। তবে দুর্ভাগ্যও সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের। দুর্ভাগ্য বলতে হবে মেহেদী হাসান মিরাজেরও।
ন্যাথান লিওনের করা ৭১তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের প্যাডে লেগে হ্যান্ডসকম্বের হাতে চলে যায়। সাথে সাথে পুরো অস্ট্রেলিয়া দল আবেদন করলে আম্পায়ার আলিম দার আঙ্গুল তুলে এটাকে আউট ঘোষণা করেন। মাঠ ছাড়ার সময় মিরাজকে দেখা যায় সম্পূর্ণ অসহায় ভঙ্গিতে উইকেটের দিকে চেয়ে থাকতে। বোঝাই যাচ্ছে আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে বেশ অবাক হয়েছেন তিনি। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশ শিবিরে আরও বেশি ভর করেছে। কারণ তখন বাংলাদেশের ঝুলিতে আর কোনো রিভিউ বাকি ছিল না। এ কারণে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে মিরাজ রিভিউ নিতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেও সাকিব আল হাসানও একই কথা বললেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ওই বলে মিরাজ আউট ছিলেন না। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘মিরাজেরটা আউট ছিল না। আমাদের যদি রিভিউটা থাকতো অবশ্যই নিতে পারতো। যেহেতু ওদের (নাসির এবং মিরাজ) পার্টনারশিপটা ভাল হচ্ছিল। নাসিরের ব্যাটিংটাও ভাল হচ্ছিল। মিরাজ ওই সময় আউট না হলে, পার্টনারশিপটা আরেকটু বড় হতে পারতো।’
সাব্বিরের ব্যাপারে এমন রিভিউ নেয়া প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করার হলে অনেকটা এড়িয়ে যান সাকিব। সাব্বিরের রিভিউ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে তামিম বলতে পারবে, কারণ তামিম ব্যাটিং করছিল ওই সময়। আমার সাথে কোন কথা হয় নাই এটা নিয়ে।’
সাব্বিরের এমন কনফার্ম আউটেও তার অবিবেচকের মত রিভিউ না নিলে হয়তো শেষ বিকেলে বাংলাদেশের ঝুলিতে একটা রিভিউ থাকতো এবং মিরাজ বেঁচে যেতে পারতো। তাহলে বাংলাদেশের ইনিংসটা আরও বড় হতে পারতো। হয়তো মিরাজের বিপক্ষে এমন ভুল করার সুযোগ পেতেন না আম্পায়াররা।
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি