তিন নম্বরেই ব্যাট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইমরুল
তিন নম্বর পজিশনে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন? ওপেন থেকে তিনে কি সহজ না কঠিন? তিনে মানিয়ে নিতে কত দিন লাগতে পারে? তিন নম্বরে কি আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন? আজ সংবাদ সম্মেলন জুড়ে বারবার এমন প্রশ্নই শুনতে হয়েছে ইমরুল কায়েসকে।
আজ অনুশীলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান। এক সময় তিনি নিয়মিত ওপেনিং করতেন। এরপর তার স্থানটি ধীরে ধীরে চলে যায় সৌম্য সরকারের দখলে। তাই শেষ টেস্টেও খেলতে হয়েছে তিন নম্বর পজিশনে।
কোচের কথা মতোই তিন নম্বরে ব্যাটিং করছেন বলে জানান ইমরুল, ‘কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে তিনে খেলতে বলেছেন। আমিও খেলেছি। নেটেও সেভাবে প্র্যাকটিস করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এখন তিনে ব্যাট করছি।’
তবে হঠাৎ পজিশন পরিবর্তন হলে মানিয়ে নেয়াটা কিছুটা কঠিন বলেও মনে করেন ইমরুল কায়েস। বলেন, ‘আসলে হঠাৎ করে পজিশন পরিবর্তন হলে মানিয়ে নেয়াটা বেশ কঠিন। তবুও মানিয়ে নিতে হয়। দলের জন্য যেটা ভালো সেটাতেই আমি অভ্যস্ত হতে চাই।’
এ সময় তিনি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য কাজ করছেন বলেও জানান, ‘আমি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য নিয়মিত নেটে প্র্যাকটিস করছি। প্রস্তুতি ম্যাচেও তিনে খেলেছি।’
তিনে ব্যাটিং নামতে হলে ভেতরে অস্থিরতা কাজ করে বলেও জানান ইমরুল, ‘আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামার জন্য প্যাড পরে বসে থাকি, তখন নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করে, কখন মাঠে যাব। এটা আসলে এডজাস্ট করে নিতে হয়। তামিমকে যদি দেন, ও পারবে না। একটা সময় আমিও পারতাম না।’
তবে ওপেনিং থেকে তিনে নেমে আসাকে দুর্ভাগ্য হিসেবে মানছেন না এই টাইগার। বলেন, ‘আমি মনে করি জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলাই সবচেয়ে বড় অর্জন। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ব্যাটিংয়ের জায়গা নিয়ে নিজের পছন্দ থাকে। কিন্তু দল যেটা ভালো মনে করে সেটাই করতে হবে। আমার মনে হয়, দুই জায়গায়ই আমি ব্যাটিং করতে রাজি; ওপেনিং বা তিন নম্বর যাই হোক।’
তিনে ব্যাটিং করাটা সুবিধা বলেই মানলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বলেন, ‘আসলে দেখেন নতুন বলে ব্যাটিং করতে গেলে সুবিধা যেমন আছে, অসুবিধাও তেমন আছে। যেমন বোলার জানে না এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রেংথ কী। তেমনি ব্যাটসম্যানও জানে না বোলার কী করবে। কিন্তু ওয়ান ডাউনে ব্যাটিং করতে এলে বোলার সাবধান হয়ে যায়। তার লাইন লেন্থ ঠিক করে ফেলে। আমি মনে করি তিনে ব্যাটিং করার সুবিধাই বেশি। কারণ বিশ্বের অনেক সেরা ব্যাটসম্যান তিনে খেলে সফল হয়েছেন।’
এমএএন/এনইউ/এমএস